EPFO থেকে কত টাকা তুলে নিলে আর পেনশন মিলবে না? জেনে রাখুন এই নিয়ম
- Written by:Trending Desk
- trending-desk
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
EPFO Pension Rules: কর্মী তাঁর প্রয়োজনে পিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা যে কোনও সময় ব্যবহার করতে পারেন। তবে ইপিএফও-তে ১০ বছর বা তার বেশি সময় অবদান রাখলে তবেই কর্মচারি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন।
advertisement
1/6

প্রত্যেক চাকরিজীবীরই পিএফ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলো দেখভাল করে এমপ্লয়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন বা ইপিএফও। প্রতি মাসে কর্মচারির বেতনের ১২ শতাংশ এতে জমা করা হয়। অন্য দিকে, কোম্পানিও সমপরিমাণ টাকা এই অ্যাকাউন্টে জমা করে।
advertisement
2/6
কর্মী তাঁর প্রয়োজনে পিএফ অ্যাকাউন্টের টাকা যে কোনও সময় ব্যবহার করতে পারেন। তবে ইপিএফও-তে ১০ বছর বা তার বেশি সময় অবদান রাখলে তবেই কর্মচারি পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। কিন্তু যদি নির্দিষ্ট সীমার বেশি টাকা তুলে নেওয়া হয়, তাহলে আর পেনশন মেলে না। এখন প্রশ্ন হল, পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে কত টাকা তুলে নিলে আর পেনশন মিলবে না?
advertisement
3/6
আগেই বলা হয়েছে, পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের অ্যাকাউন্টে বেতনের ১২ শতাংশ জমা হয়। ঠিক তেমনই কোম্পানি বা নিয়োগকর্তাও সেই অ্যাকাউন্টে সমান টাকা জমা করেন। কোম্পানি যে ১২ শতাংশ অবদান রাখে, তার ৮.৩৩ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারের পেনশন ফান্ড অর্থাৎ ইপিএস-এ চলে যায়। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ জমা হয় কর্মচারীর পিএফ অ্যাকাউন্টে।
advertisement
4/6
কিন্তু, এতে প্রতি মাসে ১,২৫০ টাকার ক্যাপ বা সীমা আছে। আসলে, ইপিএস-এ ৮.৩৩ শতাংশ কন্ট্রিবিউশন ১৫ হাজার টাকার (বেসিক + ডিএ) ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়। যদিও, এই ক্যাপিং বা সীমা অপসারণের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করছেন কর্মীরা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি।
advertisement
5/6
পেনশন পাওয়ার জন্য পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে ন্যূনতম ১০ বছর অবদান রাখতে হয়। তবে তিনি যদি চাকরি ছেড়ে দেন বা কোনও কারণে পিএফ অ্যাকাউন্টের পুরো টাকা তুলে নেন, কিন্তু ইপিএস ফান্ড রেখে দেন, তাহলেও তাঁকে পেনশন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি যদি পিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ইপিএস ফান্ডের টাকাও তুলে নেন, তাহলে আর পেনশন পাবেন না।
advertisement
6/6
চাকরির ১০ বছর পূর্ণ হলে কর্মচারী পেনশন সার্টিফিকেট নিতে পারেন। এই সার্টিফিকেটে পেনশনযোগ্য পরিষেবা, স্যালারি এবং চাকরি ছাড়ার পর পেনশন হিসেবে পাওয়া পরিমাণ উল্লেখ করা হয়। যদি কোনও ব্যক্তির কাছে ১০ বছর বা তার বেশি পেনশনযোগ্য পরিষেবা সহ স্কিম সার্টিফিকেট থাকে, তবে তিনি ইপিএসের আওতায় ৫৮ বছর বয়স থেকে মাসিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। তবে ৫০ বছর বয়স হলেই তিনি আর্লি পেনশনের জন্য আবেদন করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে পেনশন হিসেবে কম টাকা মিলবে।