EPFO Pension Calculator: EPFO-তে টাকা জমিয়ে কত পেনশন পাবেন দেখে নিন, এখানে সম্পূর্ণ হিসেব এবং সূত্র দেওয়া হল

যাঁরা কোনও কোম্পানিতে কাজ করেন, বিশেষ করে কোনও বেসরকারি কোম্পানিতে, তাঁরা সবাই মোটামুটি EPFO-এর সঙ্গে পরিচিত। কেন্দ্রীয় সরকার কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং এটি আজকাল নিরাপদ রিটার্নের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক বিকল্প হয়ে উঠেছে। EPFO-এর অধীনে কর্মীরা তাঁদের আয়ের ১২% তাঁদের PF অ্যাকাউন্টে জমা করেন এবং সেই ১২%-এর একটি অংশ EPS বা পেনশন তহবিল হিসেবে জমা হয়, যা কর্মীরা অবসর গ্রহণের পেনশন হিসেবে পরে পান। এখানে এ সম্পর্কে কিছু প্রাথমিক তথ্য দেওয়া হল। দেখে নেওয়া যাক অবসর গ্রহণের পরে কর্মী তাঁর কোম্পানি থেকে কত পেনশন পাবেন এবং তাঁর অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা হবে।

EPFO-এর মাধ্যমে প্রদত্ত পেনশনকে EPS পেনশন বলা হয়। কর্মীদের অবশ্যই ১০ বছর কাজ করতে হবে এবং ৫৮ বছর বয়সের পরে তাঁরা তাঁদের পেনশন পাবেন। এই পরিমাণ অর্থ প্রতি মাসে প্রদান করা হয়। পুরো চাকরির সময়কালে EPS-এ অবদান রাখা হয় এবং এই অবদানের ভিত্তিতে পেনশন প্রদান করা হয়। PF-এর ১২% অবদানের মধ্যে ৮.৩৩% কর্মচারী পেনশন প্রকল্পে জমা হয়, অন্য দিকে, ৩.৬৭% কর্মচারী ভবিষ্যনিধি তহবিলে জমা হয়।

পেনশন সূত্র কী?প্রথমত, পেনশনের জন্য যোগ্যতা অর্জনের জন্য একজন কর্মচারীর কমপক্ষে ১০ বছর চাকরিতে থাকতে হবে এবং তাঁর চাকরির সময়কালে পিএফ-এ অবদান রাখতে হবে। ইপিএফও পেনশনের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য একটি ক্যালকুলেটর তৈরি করেছে। সূত্রটি পেনশনযোগ্য বেতন এবং পেনশনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিষেবার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা সর্বনিম্ন ১০ বছর।

এই সূত্র অনুসারে পেনশনযোগ্য বেতন হল কর্মীর গত ৬০ মাসের বেতনের গড়। বাকি সময়কাল হল তাঁর অবদানের বছর।EPFO পেনশন ক্যালকুলেটর সূত্রমাসিক পেনশন = (পেনশনযোগ্য বেতন × পেনশনযোগ্য পরিষেবা) / ৭০

ধরা যাক, একজন কর্মচারীর পেনশনযোগ্য বেতন ১৫,০০০ টাকা এবং তাঁর পেনশনযোগ্য চাকরির মেয়াদ ১০ বছর, তাহলে তিনি সূত্র অনুসারে মাসিক ২,১৪৩ টাকা পেনশন পাবেন: মাসিক পেনশন (১৫,০০০ টাকা × ১০) / ৭০ = ২,১৪৩ টাকা।

এই পেনশন ১০ বছরের চাকরি এবং ১৫,০০০ টাকার বেতনের উপর ভিত্তি করে গণনা করা হল। যে কেউ নিজের বেতন এবং অবদানের বছরের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এবার পেনশন গণনা করে নিতে পারেন।