ATM কার্ড ব্যবহার করেন! তাহলে এটা জেনে রাখা আপনার জন্য অত্যন্ত জরুরি

গত কয়েক বছরে ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এখন ডেবিট কার্ড পরিষেবার ছাড়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের কথা প্রায় ভাবতেই পারেন না কোনও গ্রাহক। গত দশকেও অবস্থা এমন ছিল না। কিন্তু এখনও সমস্ত প্রাপ্য সুবিধা সম্পর্কে সম্মক ধারণা নেই অনেকেরই।

গ্রাহক কোনও ব্যাঙ্কে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললেই হাতে পান একটি এটিএম কার্ড বা ডেবিট কার্ড। এটিএম থেকে নগদ অর্থ তোলা হোক বা অনলাইন পেমেন্ট, সব কিছুতেই কাজে লাগে এই কার্ড।

কিন্তু অনেক গ্রাহকই জানেন না যে, এই কার্ডের সঙ্গে বিনামূল্যে পাওয়া যায় বিমা। অজ্ঞতার কারণে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থেকে যান অনেকেই।

ডেবিট কার্ডে কেমন বিমা পাওয়া যায়— এটিএম কার্ড পেলে তার সঙ্গে দুর্ঘটনা বিমা বা জীবন বিমা পাওয়া যেতে পারে। আলাদা আলাদা কার্ডে আলাদা আলাদা বিমা পাওয়া যায়। কেমন বিমা পাবেন তা নির্ভর করবে কার্ডের প্রকৃতির উপর।

ধরা যাক, কোনও গ্রাহক SBI Gold কার্ড ব্যবহার করেন। সেক্ষেত্রে তিনি ২ লক্ষ টাকার দুর্ঘটনা বিমা পেতে পারেন। ব্যাঙ্ক খতিয়ে দেখবে দুর্ঘটনার দিন বা তার আগে, বিগত ৯০ দিনের মধ্যে ওই কার্ডের সাহায্যে কোনও লেনদেন হয়েছে কি না। তাহলেই ব্যাঙ্ক এই বিমাটি চালু করে। কিন্তু এই বিষয়ে খুব কম মানুষই জানেন।

কোনও গ্রাহক যদি ৪৫ দিন ধরে এটিএম কার্ড ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি এই বিমার সুবিধা ভোগ করতে পারেন। তবে প্রতিটি ব্যাঙ্কের এই সময়কাল আলাদা হয়ে থাকে। ব্যাঙ্কগুলি এটিএম কার্ডের বিভাগ অনুযায়ী গ্রাহককে বিমা দেয়।

কোন কার্ডে কেমন বিমা— যদি কোনও গ্রাহকের কাছে ক্লাসিক কার্ড থাকে তাহলে তিনি এক লক্ষ টাকার বিমা পেতে পারেন৷ যদি কারও কাছে প্ল্যাটিনাম কার্ড থাকে তাহলে তিনি ২ লক্ষ টাকা, মাস্টার কার্ড থাকলে ৫০ হাজার টাকা, প্ল্যাটিনাম মাস্টার কার্ড থাকলে ৫ লক্ষ টাকা এবং ভিসা কার্ডে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পেতে পারেন। যদি কোনও গ্রাহক ‘জন ধন অ্যাকাউন্ট’ খুলে থাকেন, তাহলে তিনি RuPay কার্ডে ১-২ লক্ষ টাকার বিমা পেতে পারেন।

কীভাবে দাবি করতে হয়— কার্ড হোল্ডার দুর্ঘটনার কারণে মারা গেলে তাঁর মনোনীত ব্যক্তি (নমিনি) এই বিমা দাবি করতে পারেন। এই জন্য নমিনিকে ব্যাঙ্কে আবেদন করতে হবে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে গ্রাহকের মৃত্যুর শংসাপত্র, এফআইআরের কপি, ঠিকানা প্রমাণপত্র।