Cheque Writing Mistakes: চেক লেখার করার সময় 'এই' কাজটি ভুলেও করবেন না! মুহূর্তে হয়ে যেতে পারেন কপর্দকশূন্য...

চেক লেখার সময় এই ভুলগুলি করলেই কিন্তু বিরাট ঝুঁকি। পড়তে পারেন জালিয়াতির খপ্পরে। এমনকি সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। জানুন, সতর্ক হন।

যে কোনও ধরণের টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে যে জিনিসটি সব থেকে বেশি বিশ্বস্ত পদ্ধতি বলে মনে করা হয়, তা হল চেক। এই পদ্ধতিতে টাকা বিনিয়োগ করাকে নিঃসন্দেহে সবথেকে নিরাপদ বলে মনে করা হয়।

কিন্তু জেনে রাখা ভাল যে চেকের মাধ্যমে টাকাপয়সা লেনদেন যতই নিরাপদ হোক, চেক সই করে কাউকে দেওয়ার সময়ে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা অবশ্যই উচিত। না হলে সেই চেক বাতিল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। দেখে নিন নিয়মগুলি :

১) যাকে টাকা দেবেন তার নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সতর্ক থাকা উচিত। ধরুন রিয়া দাস নামক কারও নাম লিখলেন। নাম ও পদবীর মধ্যে বুঝে ফাঁকা জায়গা রাখুন। না হলে নাম ভুল হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাকে টাকা দিচ্ছেন তার নামের পাশে তার অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।

২) যাকে টাকা দেবেন তাঁর নাম লেখা হলে, তার নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।

৩) ‘বেয়ারার চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক দিয়ে দিন। ধরুন আপনি কাউকে ‘বেয়ারার চেক’ দিচ্ছেন, সেই চেক-এ যদি ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক না দেন তা হলে ওই চেক থেকে যে কেউ টাকা তুলে নিতে পারবেন।

৪) চেকের উপরে অবশ্যই লিখে দিন এসি-পেয়ি। তা হলে যাকে চেক দিচ্ছেন, শুধু তার অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে।

৫) এছাড়া চেক-এর অর্থমূল্য বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-‘ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবেন না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।

৬) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন। আপনি যদি কোনও কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, তাহলে কোম্পানির সিল ব্যবহার করে ছাপ দিয়ে দিন।

৭) চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন, তাহলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নীচে নিজের সই করে দিন।

৮) অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। নয়তো সেই চেকটিতে অবিলম্বে ‘ক্যানসেলড’ শব্দটি লিখে দিন।