Business Idea: চাকরি নয়, আম বিক্রি করেই কোটিপতি! হতে পারেন আপনিও, জেনে নিন কীভাবে!

মালদহ: মালদহ জেলার অধিকাংশ আর্থিক অবস্থা নির্ভরশীল আম চাষের উপর। তাই বিশেষত জেলা জুড়ে আম চাষের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায়। তবে আম ফলনের পর বাণিজ্যিকীকরণ করার ক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় আম চাষিদের। অনেক সময় আবার আমের গুণগত মান পরীক্ষা না করেই আমকে অযোগ্য বলে বাতিল করে দেন রফতানিকারকরা। যার ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হয় আম চাষিদের।

তাই এবার সমস্ত রকম মাঝারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে সরাসরি গাছ থেকে আম ভেঙে বিক্রি করছেন মালদহের এক আম চাষি। মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আমের অর্ডার নিয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি। শুধু মালদহ জেলা নয়, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ডেলিভারি করছেন আম।

মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের অমৃতি গোকুলনগর কামাত গ্রামের বাসিন্দা লক্ষণ বসাক। এই প্রথম মালদহ জেলায় এমন পদ্ধতি ব্যবহার করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমের ডেলিভারি করছেন তিনি। আমের মরসুম থাকায় এই সময়টা আম চাষ করে ব্যাপক আয় হয় তার। যদিও তিনি স্থায়ীভাবে এক বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করেন।

আম চাষি লক্ষণ বসাক জানান, "মোবাইলে ফেসবুকে নাম্বার দিয়ে ভিডিওর মাধ্যমে সরাসরি গাছের ছবি দেখিয়ে আমের গুণগত মান তুলে ধরা হচ্ছে। এরপর সেই ভিডিও দেখে অনেকে ফোন করে আম অর্ডার দিচ্ছেন। আমের অর্ডার নিয়ে সময়মতো পৌঁছে দেওয়ায় গ্রাহকদের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিচ্ছে। আগামীতে আরও বেশি করে আম চাষ করে এই পদ্ধতিতে বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে তার।"

এই প্রথম মালদহের কোনও আম চাষি সরাসরি গাছ থেকে ম্যাচিউরড হওয়া আমগুলো ভেঙে ডেলিভারি করছেন জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ফোন করে সারাদিন প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি অর্ডার আসে তার কাছে। হিমসাগর, গোপালভোগ, ল্যাংড়া সহ মালদহের একাধিক প্রজাতির আমের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভাল প্রজাতির আমগুলো প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কিলো দর হিসেবে ডেলিভারি করে পৌঁছে দিচ্ছেন বাড়ি বাড়ি।

অধিক পরিমাণ অর্ডার আসায় অনেক সময় আম ডেলিভারি করতে সমস্যা হলেও শ্রমিক রেখে প্যাকেজিংয়ের কাজ করাচ্ছেন বাড়িতে। এই পদ্ধতিতে আম বিক্রি করে অনেক টাকা মুনাফা হচ্ছে বলে জানান আম চাষি লক্ষণ বসাক। জেলায় এই প্রথম এমন পদ্ধতি আমের বাণিজ্যিকীকরণের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে লাভের দিশা দেখাচ্ছে আম চাষিদের। (তথ্য- জিএম মোমিন)