Budget 2022: বাজেটে আংশিক ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণে জোর দিক কেন্দ্র, দাবি বিশেষজ্ঞদের!

#নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে গত বছরের ডিসেম্বরে ২ দিনের ধর্মঘট পালন করেছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারিরা। কেন্দ্র যদি সিদ্ধান্ত না বদলায় তাহলে আরও বড় আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাজেটে কেন্দ্র আরও কয়েকটি ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ব্যাঙ্ক কর্মচারিদের উল্টো পথে হেঁটে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাঙ্কগুলির আংশিক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত সাহসী এবং পরিবর্তনমূলক পদক্ষেপ। এটাই সময়ের চাহিদা। প্রতীকী ছবি ৷

করোনা সঙ্কট কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে অর্থনীতি। আসন্ন বাজেটে ক্যাপেক্স সম্পর্কিত ব্যয় অব্যাহত থাকবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) গত বাজেটে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন।

কিন্তু এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র ১২,০২৯ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। ডিসইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে আরও বেশি টাকা জোগাড় করতে হবে। তাই এই বাজেটে কেন্দ্র আরও বড় ঘোষণা করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

করোনার জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। কিন্তু ভারতীয় অর্থনীতিতে এমএসএমই সেক্টরের গুরুত্ব অপরিসীম। জিডিপি-র প্রায় ৩০ শতাংশ আসে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প থেকে। তাই এমএসএমই-কে পুনরুজ্জীবিত করতে কেন্দ্র বড় ঘোষণা করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

একইসঙ্গে ইসিএলজিএস স্কিমের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণের শর্তগুলি আরও সহজ করার ব্যাপারে কেন্দ্রের চিন্তাভাবনা করা উচিত।

গত দু'-তিন বছর ধরে কাঠামোগত পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্কিং সেক্টর। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কগুলির প্রযুক্তি এবং কর্মদক্ষতার উন্নতিসাধন করা দরকার। পাবলিক সেক্টরের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তাই বর্তমান কাঠামোয় এই পরিবর্তন বা রূপান্তর রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি, ব্যাঙ্কগুলির আংশিক বেসরকারিকরণ একটা সাহসী পদক্ষেপ। গত বাজেটে দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তার কাজ খুব একটা এগোয়নি।

তাই এ জন্য স্বচ্ছ রোডম্যাপ প্রয়োজন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবেই এই পদক্ষেপের লাভ ঘরে তুলে পারবে সরকার। বেসরকারিকরণে গতি আনতে গত বাজেটে এনএআরসিএল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা বিশ বাঁও জলে। ফলে এই বাজেটে এই নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করা হতে পারে।

ভারতীয় অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ভারতকে বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ অঞ্চল বলে পরিচিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দেশকে গত কয়েক দশকের শ্রেষ্ঠ উদার অর্থনীতির আখড়া বলে তুলে ধরেন তিনি।

মোদির কথায়, ‘কর ব্যবস্থা সংস্কার, নানা আর্থিক প্রকল্পে, গৃহনির্মাণে গত কয়েক বছরে নজির সৃষ্টি করেছে ভারত। এই দেশ সংস্কার করছে, প্রদর্শন করছে, এবং নিজেকে দ্রুত বদলাচ্ছে’। এই পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি এবং বাণিজ্য ঘাটতির কথা মাথায় রেখে জনগনের প্রকৃত আয় বাড়ানোর দিকেও সরকারকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।