ট্যাক্স বাঁচাতে ভুয়ো বাড়ি ভাড়ার রসিদ! খারাপ সময় আসছে, AI সফটওয়্যার ধরে ফেলছে সব!

ভুয়ো আইটিআর দাখিল করেছে এমন করদাতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল আয়কর বিভাগ। আত্মীয়স্বজনের নামে জাল বাড়ি ভাড়ার রসিদ জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভুয়ো অনুদান, ঋণ নিয়ে অতিরঞ্জিত দাবি – এই জাতীয় সমস্ত রিটার্নকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি বহু বেতনভোগী এবং পেশাজীবী ব্যক্তিকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ। এই ধরনের দাবির ব্যাখ্যা ও প্রমাণ দাবি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, করদাতাদের আইটি রিটার্ন প্রস্তুত এবং ফাইল করার জন্য যে চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, আইনজীবী এবং আইটি পেশাদার সাহায্য করেছেন তাঁদের বিশদ বিবরণ প্রদান করতে বলা হয়েছে।

এই নোটিস বেতনভোগী কর্মচারীদের জন্য ধারা ১০(১৩এ)-এর অধীনে ভুয়ো বাড়ি ভাড়া ভাতা, গৃহ ঋণের সুদের জন্য আইটি আইনের ধারা ২৪(বি)-এর অধীনে ছাড়ের জন্য এবং অফিসিয়াল দায়িত্ব পালনে সহকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে ধারা ১০(১৪)-এর অধীনে ভাতা প্রদানের জন্য পাঠানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে আইটি বিভাগকে ফাঁকি দেওয়া তুলনামূলক সহজ ছিল। কিন্তু এখন এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে ভুয়ো রসিদ ধরতে এক মিনিটও সময় লাগে না।

একটি নামী সিএ ফার্মের অংশীদার সিদ্ধার্থ বনওয়াত বলছেন, ‘কর ফাঁকি ধরার জন্য সঠিক পথে প্রযুক্তির ব্যবহার করছে সরকার। কম ট্যাক্স ব্র্যাকেটের অনেকেই মনে করেন, এত অল্প টাকা, কে আর খেয়াল রাখবে! ফলে তারা খেয়ালখুশি মতো ডিডাকশন দাবি করে’।

রাজস্ব বিভাগ সম্প্রতি ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দাতব্য এবং রাজনৈতিক অনুদানও খুঁটিয়ে দেখতে চলেছে। ২০১৯-এর বাজেটের পর দাতব্য ট্রাস্টগুলিকে একটি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নম্বর রাখতে বলা হয়।

এই নম্বর-সহ ট্রাস্টগুলিকে দেওয়া অনুদান ২০২০ অর্থবর্ষের পর থেকে ধারা ৮০জি-র অধীনে ছাড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

কেবিপি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের অংশীদার পারস সালভা বলছেন, ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে আয়কর বিভাগ এমন লোকেদের চিহ্নিত করেছে যাঁদের এক অর্থবর্ষে অর্জিত আয়ের বিপরীতে অনুদানের অনুপাত সন্দেহজনক’।

রেকর্ডের কম্পিউটারাইজেশন রাজস্ব বিভাগকে দাতব্য সংস্থা বা রাজনৈতিক দলগুলির দ্বারা দাখিল করা ট্যাক্স রিটার্নের সঙ্গে ব্যক্তিদের কাছ থেকে রিটার্নের বিবরণ মেলাতে এবং অনুদানের দাবির বৈধতা নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।