সাবধান; এই স্পাইওয়ার চুরি করতে পারে টাকা এবং রেকর্ড করতে পারে ফোন কল, এই ভুল যেন না হয়

বাজারে চলে এসেছে একটি আধুনিক স্পাইওয়ার। যার মাধ্যমে টাকা গায়েব হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের ফোন কলও রেকর্ড হতে পারে। SpyNote নামের নতুন সেই ম্যালওয়্যার ইতিমধ্যেই সকলের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। SpyNote নামের নতুন সেই ম্যালওয়্যার, যা নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারদর্শী, তা ইন্টারনেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷

ইন্টারনেট সিকিউরিটি কোম্পানি F-Secure অনুসারে, এই জাল অ্যাপটি ইউজারদের সংবেদনশীল ডেটা চুরি করতে পারে - যেমন ব্যাঙ্কিং তথ্য। এটি প্রাথমিকভাবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলিকে লক্ষ্য করে জালিয়াতি করা শুরু করেছে।

ইন্টারনেট সিকিউরিটি কোম্পানি F-Secure-এর গবেষক অমিত তাম্বে জানিয়েছেন যে, এই স্পাইওয়্যার স্পাই নোট, 'স্মিশিং'-এর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে সংক্রামিত এসএমএস বার্তা পাঠানো জড়িত। যখন ইউজাররা এই বার্তাগুলি পান, তখন তাঁদের Google Play-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাদ দিয়ে প্রদত্ত লিঙ্কের মাধ্যমে কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়।

এটি অ্যান্ড্রয়েডে নিজেকে লুকিয়ে রাখে - একবার একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে এই অ্যাপ (স্পাইওয়্যার) ইনস্টল হয়ে গেলে, এটি সনাক্তকরণ এড়াতে ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখে। F-Secure অনুযায়ী, SpyNote অ্যান্ড্রয়েড ওএস-এর 'সাম্প্রতিক' স্ক্রিনে উপস্থিত হওয়া থেকে তার কার্যকলাপগুলিকে আড়াল করার জন্য "অতিরিক্ত পদক্ষেপ" নেয়। ম্যালওয়্যার সক্রিয় করতে শিকারের ডিভাইসে একটি 'বাহ্যিক ট্রিগার' না পাঠানো পর্যন্ত এটি লুকানো থাকে।

SpyNote ইউজারদের ডেটা চুরি করে - এই স্পাইওয়্যারটি অবশ্যই ইউজারদের গোপনীয়তাকেও আক্রমণ করে। কারণ এটি ফোন কল রেকর্ড করতে পারে। রেকর্ড করা ফাইল .wav ফাইল ফরম্যাটে সংরক্ষিত হয় এবং তারপর আক্রমণকারীর কাছে পাঠানো হয়।

যখন কেউ একটি ইনকামিং কল পায়, তখন সেই ফোনের অবস্থা পরিবর্তিত হয় এবং সম্প্রচার গ্রহণকারী ট্রিগার হয়। সম্প্রচার রিসিভারের কোডটি পরীক্ষা করে যে শিকার কলটির উত্তর দিয়েছে কি না এবং একবার নিশ্চিত হয়ে গেলে অডিও রেকর্ড করা শুরু করে।

এছাড়া, আরও ডেটা চুরি করতে ম্যালওয়্যার ইউজারদের ফোন থেকে .jpeg ফাইলগুলি ক্যাপচার করতে পারে এবং সম্ভাব্যভাবে ইউজারদের ডেটা যেমন ব্যাঙ্কিং পাসওয়ার্ড এবং আরও অনেক কিছু চুরি করতে একটি কি-লগার হিসাবে কাজ করতে পারে৷

ইন্টারনেট সিকিউরিটি কোম্পানি F-Secure-এর মতে ২০২২ সালের অক্টোবরে এর সোর্স কোড প্রকাশের পর এই ট্রোজানের সংক্রমণের হার বেড়েছে। তাই এই ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সতর্ক থাকা এবং এসএমএস ও আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে প্রাপ্ত বিদেশি লিঙ্কগুলিতে ক্লিক করা সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত।