Hibiscus Cultivation: একবার গাছ লাগালে ফুল ফুটবে বারো মাস! ‌এই জবা চাষে ব্যাপক লাভ! জানুন

উত্তর দিনাজপুর: বারোমাসি জবা ফুল চাষ করে হবে প্রচুর লাভ। জানুন পদ্ধতি। পুজোর ফুল হিসাবে চাহিদার বিচারে জবার স্থান অনেক উপরে। রিপোর্টিং পিয়া গুপ্তা ৷ প্রতীকী ছবি ৷

বিভিন্ন পুজো পার্বণে এই ফুলের কুঁড়ি ও মালার বিশেষ চাহিদা থাকে। এই চাহিদাকে সামনে রেখে এখন  অনেকেই জবা ফুল চাষে মনোনিবেশ করেছেন। প্রতীকী ছবি ৷ 

বারোমাসি জবা ফুলের চাষ করে অল্প জমিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের বিশিষ্ট ফুল চাষী তারা প্রসাদ। এতদঞ্চলে জবা ফুলের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতীকী ছবি ৷

আর তার চেয়েও বেশি চাহিদা ভাল মানের জবা ফুলের। তাই মহারাষ্ট্রের পুণে ভ্যারাইটির জবা লাগিয়ে বার মাস সকলের চাহিদা মেটাতে মিটাছেন  কালিয়াগঞ্জ এর ফুল চাষী তারা প্রসাদ। প্রতীকী ছবি ৷

তিনি বলেন  জবা ফুলের চাহিদা এতটাই বেশি যে অনেকে যেমন এই ফুলের চারা কিনে নিয়ে যায় তেমনি পাইকাররা এসে তার বাগান থেকে শয়ে শয়ে ফুল নিয়ে যায়। প্রতীকী ছবি ৷ 

আর এই জবা চাষ করে দ্বিগুণ লাভ করছেন তারা প্রসাদ । একটি পুনে ভ্যারাইটির জবা ফুলের চারার দাম  ত্রিশ টাকা । আর ফুলের দাম ৭ টাকা থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতীকী ছবি ৷ 

শীতকালে অন্যান্য জবা ফুল তেমনভাবে ফোটে না কিন্তু পুণে ভ্যারাইটির এই জবা সারা বছর ফোটে। এই মহারাষ্ট্রের   পুণে ভ্যারাইটির ফুলগুলো ছোট অবস্থাতেই গাছে প্রচুর ফুল দেয়। প্রতীকী ছবি ৷

সপ্তাহে একদিন পচা খৈল দিয়ে এই গাছের যত্ন করতে হয়।  যে কোনও মাটিতেই জবা গাছ জন্মায়। তবে বেলে-দোঁয়াশ মাটি এই চাষের পক্ষে উপযুক্ত। সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করলে ভাল ফুল পাওয়া যায়। । প্রতীকী ছবি ৷

বর্ষার আগে ও শীতের মরশুমে জবা গাছের গোড়ায় মাটি খুঁড়ে সার দিতে হয়। পুকুরের পাঁকও দেওয়া যেতে পারে। এতে খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে জবা গাছ৷ তবে শীতকালে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় কম জল প্রয়োজন হয় জবা গাছের৷ প্রতীকী ছবি ৷

এই সময়ে গাছের গোড়া বেশি ভিজে থাকলে মরে যেতে পারে গাছটি৷  এই গাছকে বছরে দু’বার ছেটে দিতে হবে। ফাল্গুন-চৈত্র ও ভাদ্র-আশ্বিন মাসে গাছটিকে ছেটে দেওয়ার কাজ করতে হবে। সব সময় জমিকে আগাছামুক্ত রাখতে হবে। প্রতীকী ছবি ৷