চাহিদা থাকে সব সময়েই, এভাবে পেঁপে চাষ করুন, কম সময়ে ধনী হবেন, জেনে নিন সহজ পদ্ধতি

পেঁপে খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুব কমই দেখা যায়। পাকা পেঁপে হোক বা পেঁপের ঝোল, দুই সমান সুস্বাদু, পুষ্টিগুণ তো অন্তহীন! এ হেন পেঁপে এমন একটি ফল যা সারা বছর বাজারে পাওয়া যায় এবং এর চাহিদা সবসময়ই থাকে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কৃষকরা এর চাষ থেকে বেশি লাভ করতে পারেন। পেঁপে চাষের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এতে বিনিয়োগ কম। কৃষকরা একটি ফলন থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন।

এই ফসলটি অন্যান্য ফলের সঙ্গেও চাষ করা যেতে পারে, যা কৃষকদের আয়ে বৈচিত্র্য এনে দেবে। বাজারে পেঁপে ভাল দাম পায় এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। কৃষকরা এটি চাষ করে তাঁদের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করতে পারেন।

বরাবাঁকি জেলার বাদেল গ্রামের তরুণ কৃষক আকাশ দুই বছর আগে পেঁপে চাষ শুরু করেছিলেন, যার ফলে তিনি ভাল লাভ করেছেন। আজ তিনি প্রায় দুই বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করছেন এবং এই চাষ থেকে তিনি প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা লাভ করছেন।

পেঁপে-চাষি আকাশ কুমার বলেন, তিনি আগে বেশিরভাগ সবজি চাষ করতেন, কিন্তু গত দুই বছর ধরে তিনি পেঁপে চাষ করছেন। এই চাষ থেকে তিনি ভাল লাভ পাচ্ছেন। আজ তিনি দুই বিঘা জমিতে পেঁপে লাগিয়েছেন, যা ভাল দামে বিক্রি হচ্ছে।

এক বিঘা জমিতে চাষের খরচ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, আর লাভ প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। এর কারণ হল, তাদের পেঁপে অন্যান্য পেঁপের তুলনায় অনেক বড় এবং মিষ্টি, যার কারণে বাজারে এর চাহিদা বেশি। এক বিঘা জমিতে প্রায় ২২০টি গাছ লাগানো হয় এবং একটি গাছে ফলন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি।

পেঁপে চাষ করা বেশ সহজ। প্রথমে পেঁপের বীজের নার্সারি তৈরি করা হয়, তারপর জমি দুবার গভীরভাবে চাষ করে সমতল করা হয় এবং গর্ত খনন করা হয়। এর পরে, ভালভাবে পচা গোবর সার গর্তে মিশিয়ে গর্তটি ভরাট করা হয় এবং পেঁপে গাছ লাগানো হয়। একটি গাছের থেকে অন্য গাছের দূরত্ব প্রায় ৩ থেকে ৪ ফুট হওয়া উচিত, এতে গাছের বৃদ্ধি ভাল হয় এবং ফলনও বেশি হয়। গাছ লাগানোর মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস পরেই ফসল কাটা শুরু হয়।