Car EMI Calculation: বেতন অনুযায়ী কত দামি গাড়ি কেনা উচিত? ২০২৫-এ গাড়ি কিনতে চাইলে প্রথমেই এই হিসেব বুঝে নিন

বর্তমান সময়ে গাড়ি শখ নয়, বরং প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। লোকেরা একটি নতুন গাড়ি কেনার জন্য বড় পার্বণগুলির জন্য অপেক্ষা করে। কারণ সেই উপলক্ষে অনেক ছাড় এবং আরও ভাল অফার পাওয়া যায়৷ নতুন বছর আসতে চলেছে এবং এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নতুন গাড়ি ক্রয় করতে পারে। কিন্তু, আজকাল বাজারে এত গাড়ির বিকল্প রয়েছে যে, কখনও কখনও নিজেদের বাজেট অনুযায়ী কোন গাড়ি ক্রয় করা উচিত, তা সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

অনেক সময় মানুষ কার লোনের ভিত্তিতে দামি গাড়ি কেনে। কিন্তু, পরবর্তীতে প্রতি মাসে বিশাল ইএমআই দেওয়ার কারণে তাদের বাজেট নষ্ট হয়ে যায় এবং তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। তাই গাড়ির বাজেট আগেই ঠিক করে নেওয়া ভাল। এক্ষেত্রে একটি সূত্র সকলের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে। কেউ যদি নতুন বছরে একটি নতুন ঝকঝকে গাড়ি ঘরে আনতে চায়, তাহলে এই সূত্রটি ভাল করে বুঝে নিতে হবে।

এই সূত্র ভাল কাজ করবে -কেউ যদি ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করে থাকে, তাহলে প্রথমেই বিভিন্ন ব্যাঙ্কে যেতে হবে এবং সস্তার কার লোন সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। এছাড়া, ৫০/২০/৪/১০ ফর্মুলা প্রয়োগ করতে হবে। এই ফর্মুলার সাহায্যে, নিজেদের বাড়িতে একটি নতুন গাড়ি আনা সম্ভব হবে এবং নিজেদের বাজেটেরও ব্যাঘাত ঘটবে না।

বার্ষিক আয়ের অর্ধেক দামে একটি গাড়ি ক্রয় করা উচিত -এখানে ৫০ মানে কারও বার্ষিক আয়ের ৫০ শতাংশ। যখনই একটি গাড়ি কিনতে যাওয়া হবে, আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, গাড়ির খরচ বার্ষিক আয়ের অর্ধেক হবে। ধরা যাক কারও বার্ষিক বেতনের প্যাকেজ ১২ লাখ টাকা, তাহলে শুধুমাত্র ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত একটি গাড়ি কেনা উচিত। অযথা দামি গাড়ি কিনলে সেই বাজেট নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

২০/৪/১০ এর অর্থ -এই সূত্রে, ২০ মানে ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট। এর অর্থ, কেউ যদি ৬ লাখ টাকার একটি গাড়ি কিনতে যায়, তবে যে কোনও ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ১,২০,০০০ টাকা ডাউন পেমেন্ট হিসাবে দিতে হবে। এর চেয়ে বেশি দিতে পারলে ভাল, তবে কম দেওয়া উচিত নয়। এখানে ৪ মানে লোনের মেয়াদ অর্থাৎ সেই গাড়ির লোনের মেয়াদ ৪ বছরের বেশি হওয়া উচিত নয়। এখানে ১০ মানে EMI পরিমাণ বার্ষিক বেতনের ১০ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়।

৪,৮০,০০০ টাকায় কত EMI -ধরা যাক কেউ ৬ লাখ টাকার একটি গাড়ি কিনতে যাচ্ছে, যার মধ্যে ২০ শতাংশ হারে ১,২০,০০০ টাকা ডাউন পেমেন্ট করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে ৪,৮০,০০০ টাকা লোন হিসাবে নিতে হবে। ধরা যাক SBI থেকে একটি কার লোন নেওয়া হল। ৯.২% সুদের হারে এই লোনটি পাওয়া গিয়েছে এবং লোনের মেয়াদ ৪ বছর। তাহলে এই ক্ষেত্রে প্রতি মাসে EMI হিসাবে ১১,৯৯০ টাকা দিতে হবে।