7 Gold Mines: ভারতের ৭টি প্রধান সোনার খনি কোথায় আছে ? জেনে নিন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ভূতাত্ত্বিকরা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর জেলায় সোনার মজুতের উপস্থিতি নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত সোনার খনিগুলির একটি তালিকা এখানে দেওয়া হল। ভূতাত্ত্বিকরা মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুর জেলায় ভূপৃষ্ঠের গভীরে উল্লেখযোগ্য সোনার মজুতের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন।

আসলে, একটি সম্ভাব্য পরিবর্তনশীল আবিষ্কার হিসেবে, ভূতাত্ত্বিকরা মধ্যপ্রদেশের জব্বল্পুর জেলায় ভূপৃষ্ঠের গভীরে উল্লেখযোগ্য সোনার মজুতের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিক জরিপের তথ্য অনুসারে, সোনার মজুত আনুমানিক ১০০ হেক্টর জুড়ে বিস্তৃত এবং বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে পরিমাণ লাখ লাখ টনে পৌঁছতে পারে। যদি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হয়, তাহলে এটি জব্বলপুরকে ভারতের সবচেয়ে খনিজ সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলির মধ্যে স্থান দেবে এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নাটকীয়ভাবে পুনর্গঠন করতে পারে।

বলা বাহুল্য, সোনা সবচেয়ে মূল্যবান ধাতুগুলির মধ্যে একটি। এটি বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্ত, বিবাহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এর উল্লেখযোগ্য ব্যবহার। যদিও ভারত বিশ্বের শীর্ষ সোনা উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে একটি নাও হতে পারে, তবে এর উল্লেখযোগ্য সোনার মজুত রয়েছে, প্রধানত কর্নাটক, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে। ৩১ মার্চ, ২০২৫ তারিখের হিসাব অনুযায়ী, ভারতে সোনার মোট মজুত প্রায় ৮৭৯.৫৮ মেট্রিক টন।

কর্নাটকের রাইচুর জেলার হুট্টি সোনার খনি ভারতের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সোনার খনি। বার্ষিক প্রায় ১.৮ টন সোনা উৎপাদন করে, এই খনির ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি।

কর্নাটকের কোলার জেলার কোলার গোল্ড ফিল্ডস (KGF) হল একটি ঐতিহাসিক সোনার খনি, যা একসময় বিশ্বের দ্বিতীয় গভীরতম খনি ছিল। ১৮৮০ সালে ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই খনি ২০০১ সাল পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছিল, এর জীবদ্দশায় প্রায় ৮০০ টন সোনা উৎপাদন করেছিল। ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি পুনরুজ্জীবিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

২০২০ সালে সম্ভাব্য সোনার মজুত আবিষ্কারের পর উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র জেলার সোনভদ্র সোনার খনি হল নতুনতম অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এটি উত্তরপ্রদেশের সোনার খনির ভবিষ্যতের জন্য প্রতিশ্রুতি বহন করে।অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার রামগিরি স্বর্ণক্ষেত্র রাজ্যের অন্যতম উল্লেখযোগ্য সোনার খনি। এটি বিজয়নগর সাম্রাজ্যের সময়কাল থেকে শুরু।

ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূম জেলার পারসি স্বর্ণখনি, অন্যান্য খনিগুলির মতো বড় খনি নয় তবে এর উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে। এই অঞ্চলটি তার তামার মজুতের জন্যও পরিচিত।কর্নাটকের গদগ জেলার গদগ স্বর্ণখনি দক্ষিণ রাজ্যের একটি ছোট খনি, তবে বহু যুগ ধরে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলার চিগরগুন্টা-বিষনাথম স্বর্ণখনি রামগিরি স্বর্ণক্ষেত্রের কাছে অবস্থিত। রাজ্যের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খনিগুলির মধ্যে  এটি ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।