10 Rupee Coin: আপনার কাছে ১০ টাকার কয়েন আছে? তাতে (₹) চিহ্ন আছে নাকি নেই! RBI কী বলছে জানেন এ নিয়ে? খুবই জরুরি তথ্য

২০০৫ সালে ভারতীয় রিসার্ভ ব্যাঙ্ক প্রথমবার ১০ টাকার কয়েন চালু করে। ২০০৬ সালে জনসাধারণের মধ‍্যে আসে দ্বিধাতব অর্থাত্‍ দুই আলাদা ধাতু দিয়ে তৈরি এই কয়েন চালু হয়।

কিন্তু এই ১০ টাকার কয়েন নিয়ে অনেকের মনেই বিভ্রান্তি তৈরি হয়। এই কয়েনগুলি বিভিন্ন রকমের দেখতে হওয়ায় আসল, নকল নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। অনেক দোকানেই কোনও একটি ১০ টাকার কয়েন দেওয়ার পর বলে ‘‘এটি চলবে না’’।

বিশেষত টাকার রুপি (₹) চিহ্ন নিয়ে তৈরি হয় বড় বিভ্রান্তি। অনেক ১০ টাকার কয়েনেই থাকে না (₹) চিহ্ন। সেই ১০ টাকার কয়েন কি নকল? অনেকের মনেই রয়েছে এই জিজ্ঞাসা

১০ টাকার কয়েন নিয়ে এই বিভ্রান্তির দূর করছে খোদ RBI। দেশের প্রথম তৈরি বাইমেটালিক বা দ্বিধাতব কয়েন হল ১০ টাকার কয়েন। এই কয়েন চালু করার সময় এক নয়, একাধিক ডিজাইন চালু করে RBI। ১৪টিরও বেশি ধরনের ডিজাইন চালু করা হয়

ডিজাইন পরিবর্তন হলেও, সবকটিই আইনগতভাবে বৈধ। ২০১১ সালে ভারত সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রুপি চিহ্নের (₹) ঘোষণা করে। এরপর থেকে মুদ্রিত কয়েনগুলিতে (₹) চিহ্ন থাকে। কিন্ত আগের ছাপানো নোট বা কয়েনে ওই চিহ্ন থাকে না।

ফলত, রুপি চিহ্ন আসার আগের ১০ টাকার কয়েনগুলিতে (₹) চিহ্নটি নেই। অর্থাত্‍ রুপি চিহ্ন নেই মানেই সেই কয়েন নকল, এ ধারণা একেবারেই ভুল। ₹ চিহ্ন না থাকলে সেই কয়েন, এ খবর একেবারেই গুজব তা স্পষ্ট করেছে আরবিআই।

অন‍্যদিকে বহুদিন ধরে একই কয়েন এবং নোট বাজারে চললে পুরনো এবং নতুন দু'ধরনের কয়েন থাকবে বাজারে, এটাই স্বাভাবিক। তাই গুজবে কান দেওয়া একেবারেই উচিত। ₹ চিহ্ন সমেত এবং ₹ চিহ্ন ছাড়া, দু'ধরনের কয়েনই সম্পূর্ণ বৈধ।

তাই এটি গ্রহণ করাও প্রয়োজন। এটি গ্রহণ করতে অস্বীকার করা আইনগতভাবে সঠিক নয়। কেউ গ্রহণ করতে অস্বীকার করলে তা আইনভঙ্গ করা হবে।