আপনার পকেটে কি এই ১০ টাকার কয়েন রয়েছে? আসল না জাল? কী ভাবে চিনবেন? বলে দিল RBI

ভারতে ₹10 মুদ্রা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভ্রান্তি চলছে। কোনটা ১০টাকার আসল কয়েন, কোনটা জাল? অনেক জায়গায় দোকানদাররা এই মুদ্রা নিতে অস্বীকার করেন, কারণ তাঁরা মনে করেন, ১০ রেখা যুক্ত মুদ্রাই আসল, আর ১৫ রেখাযুক্ত মুদ্রা নকল। অথচ, আসল সত্যি কিছুটা ভিন্ন। জানলে অবাক হবেন।

মুদ্রা তৈরির কাজ ভারত সরকারের মিন্টে হয় এবং সময় অনুযায়ী অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন নকশা মুদ্রায় ফুটিয়ে তোলা হয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা থাকায় অনেকে ১০ টাকার মুদ্রা নিতে চান না। কারও ধারণা, ₹ চিহ্ন দেওয়া মুদ্রাই আসল, আবার কেউ মনে করেন শুধুমাত্র ১০ লাইনের মুদ্রাই বৈধ।

এ পর্যন্ত মোট ১৪ ধরনের ₹10 মুদ্রা চালু হয়েছে, তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে এই বিভ্রান্তি থেকেই গিয়েছে। কেউ বলেন, টাকার চিহ্ন (₹) দেওয়া মুদ্রাই আসল, আবার কেউ বলেন শুধুমাত্র ১০ লাইনযুক্ত মুদ্রা বৈধ।

RBI-এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সরকার অনুমোদিত এবং RBI দ্বারা প্রচলিত বিভিন্ন ডিজাইনের ১০ টাকার মুদ্রা সম্পূর্ণ বৈধ এবং এগুলোকে লেনদেনের ক্ষেত্রে গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

এই বিভ্রান্তি দূর করতে RBI আগেও একাধিকবার সচেতনতা প্রচার করেছে। RBI-এর ওয়েবসাইটে এ নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া আছে, যেখানে ১৪ রকমের ১০ টাকার মুদ্রার নকশার বিবরণ রয়েছে। পাশাপাশি, RBI একটি টোল-ফ্রি নম্বরও চালু করেছে, যার মাধ্যমে ১০ টাকার মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

১০ টাকার মুদ্রা সংক্রান্ত তথ্য জানতে RBI একটি টোল-ফ্রি নম্বর ১৪৪৪০ চালু করেছে। এই নম্বরে ফোন করলেই কল কেটে যাবে এবং তারপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই নম্বর থেকেই কল আসবে, যেখানে IVR-এর মাধ্যমে ১০ টাকার মুদ্রা সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য জানানো হবে।

RBI স্পষ্ট জানিয়েছে, দেশজুড়ে প্রচলিত ১৪ ধরনের ১০ টাকার মুদ্রা বৈধ এবং সেগুলো গ্রহণ করতেই হবে। কেউ ১০ টাকার মুদ্রা নিতে অস্বীকার করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। যদি কারও সন্দেহ হয়, তবে তারা টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করে সংশয় দূর করতে পারেন।

এই বিভ্রান্তি দূর করতে RBI তার ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সব ধরনের ₹10 মুদ্রাই বৈধ এবং কেউ যদি এই মুদ্রা নিতে অস্বীকার করেন, তবে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। এমনকি RBI এই বিষয়ে সাহায্যের জন্য ১৪৪৪০ নম্বরে একটি টোল-ফ্রি IVRS সেবা চালু করেছে, যেখানে ফোন করলেই স্বয়ংক্রিয় বার্তার মাধ্যমে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।