Ashwin Month Vastu Eating Tips: শুরু হল আশ্বিন মাস! ভুলেও দাঁতে কাটবেন না এই ৪ সবজি, ১ শাক এবং এই সাদা জিনিস! অসুখ অভাবে তছনছ হবে সংসার! ছারখার জীবন!

বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে সঙ্গে অবসান হয় বাংলা ক্যালেন্ডারের ভাদ্র মাস৷ পড়ে যায় আশ্বিন মাস৷ এই মাস উৎসবের মাস৷ বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব হয় এই সময়ে৷ এই মাসকে বলা দেবী ভগবতীর মাস৷ এই মাসে পূজিত হন দেবী দুর্গা এবং দেবী লক্ষ্মী৷

আশ্বিন মাসের কৃষ্ণ পক্ষকে পিতৃপক্ষ এবং শুক্লা পক্ষকে দেবীপক্ষ বলা হয়৷ মহালয়ায় থাকে অমাবস্যা তিথি৷ সেদিনই সমাপ্ত হয় পিতৃপক্ষ৷ শুরু হয় দেবীপক্ষ৷ এই মাস জ্যোতিষশাস্ত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

আশ্বিন মাসের আগেই সূর্যের দক্ষিণায়ণ গতির শুরু হয়ে যায়৷ ফলে বাতাসে চলে আসে হিমের পরশ৷ শহরে কম হলেও গ্রামে বেশ ভালই অনুভব করা যায় এই ঋতু পরিবর্তন৷ ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে কী খাবেন, কী খাবেন না সে বিষয়ে আয়ুর্বেদে একাধিক নির্দেশ আছে৷

এই আহারবিধি মূলত তৈরি করা হয় সুস্থতার লক্ষ্যে৷ ধীরে ধীরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় জ্যোতিষ অনুষঙ্গ৷ মনে করা হয় এই বিধি পালন না করলে অসুস্থতার আশঙ্কা থাকে৷ অসুস্থ হলে রোগব্যাধিতে অর্থক্ষয় হয়ে হতে পারে৷ ফলে সংসারে দেখা দিতে পারে দারিদ্য৷ তাই বলা হয় রোগ ব্যাধিকে দূরে রেখে সুস্থ থাকতে, সংসারে অর্থাগমন বজায় রাখতে আশ্বিন মাসে কিছু খাবার বর্জন করতে হবে৷ বলছেন জ্যোতিষ বিশারদ চক্রপাণি ভাট।

এখন সারা বছর সব সবজি পাওয়া গেলেও সব সময় মরশুমি শাকসবজি খাওয়াই বাঞ্ছনীয়৷ তাতে শরীর সুস্থ থাকে৷ তাই আশ্বিন মাসে মুলো খাবেন না৷ কারণ বাতাসে এ সময় কিছুটা হলেও গরমের প্রভাব থাকে৷

বেগুন উপকারী হলেও আশ্বিন মাসে খাওয়া নিষিদ্ধ৷ সেইসঙ্গে তিতো খাবার খাওয়ার সময়ও নয় এই মাস৷ তাই উচ্ছে-সহ অন্য তিতো শাকসবজি মুখে তুলবেন না ভুলেও৷ এছাড়া সর্ষে শাকও খাবেন না৷

মুসুর ডাল এবং সাদা তিল-এই দুই দানাশস্যও আশ্বিন মাসে বর্জনীয়৷ মনে করা হয় এই দুই শস্য এ সময়ে খেলে শরীরের ক্ষতি হয়৷

কাঁচা ছোলা এবং থোড়ের মতো সবজি এ মাসে খাবেন না৷ কারণ নবপত্রিকা যে মাসে পুজো করা হয়, সেই মাসে কলাগাছ কাটা অশুভ বলে মনে করা হয়৷ তাই থোড় এড়িয়ে চলুন এ সময়৷

এ সময় হজমশক্তি কমে যায় মরশুম পরিবর্তনের জন্য৷ তাই দুধ খাবেন না এই মাসে৷ তাহলে বদ হজম হতে পারে৷ দুধ এবং দইয়ের মতো খাবার থেকে দূরে থাকুন এই মাসে৷