রাজ্যের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। কনস্টেবল থেকে সাব ইন্সপেক্টর, ইন্সপেক্টর, ডিএসপি এমনকী আইপিএস-রাও। নির্দিষ্ট কোনও পদ নয়, যে কোনও স্তরের কর্মীদের ওপর নৃশংস আক্রমণ চালাচ্ছেন উত্তেজিত জনতা।
হামলার জেরে আতঙ্কগ্রস্থ পুলিশকর্মীদের চেহারা সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। কখনও যান-শাসন করতে গিয়ে, কখনও কাউকে গ্রেফতার করতে গিয়ে, কখনও দুপক্ষের মারামারি ঠেকাতে গিয়ে মাঝখানে থাকা পুলিশকর্মীরা যেন সহজ টার্গেট।
advertisement
এখানেই প্রশ্ন উঠছে, কেন বারে বারে এভাবে টার্গেট হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। বিশেষঞ্জদের মতে,
পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা ও ভয় কার্যত যেন উবে গেছে
রাস্তায় পুলিশকর্মীদের একাংশের টাকা তোলাই এর জন্য দায়ী
একাংশের সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজকর্মে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে
রাজনৈতিক স্বার্থে সাধারণ মানুষকে আইন ভাঙতে উত্সাহিত করা হচ্ছে
পুলিশেরও একাংশ নিজেদের সুবিধার জন্য অভিযুক্তদের আড়াল করছে
এলাকায় যোগাযোগ, নজরদারি ও সোর্স মারফত খবর যোগাড়ে ব্যর্থতা
পুলিশ অফিসারদের এক বড় অংশের দক্ষতার অভাব
অফিসারদের সঙ্গে ফোর্সের পারস্পরিক একাত্মতা না থাকা
এমন বহু কারণেই পুলিশকর্মীরা টার্গেট হচ্ছেন বলে মনে করছেন বিশেষঞ্জরা। তবে এর সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত হচ্ছে, রাজনৈতিক টানাপোড়েন। যেখানে পুলিশকর্মী থেকে অফিসার, প্রত্যেকেই এক সারিতে এসে যাচ্ছেন। আর সাধারণ মানুষের থেকে আলাদা হয়ে পুলিশ যেন আলাদা এক গোষ্ঠী হয়ে উঠছে।