আরও পড়ুন : পঞ্চায়েত মনোনয়নে অশান্তির জের বারুইপুরে গুলিবিদ্ধ সিপিএম নেতা
মুম্বইবাসী এক মহিলার দায়ের করা মামলার শুনানি ছিল । পারিবারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার স্বামীর কাছে । এখন পারিবারিক সূত্রে কোনও ভাবেই তাঁর স্বামী যুক্ত নয় । আলাদা হয়ে যাওয়া ঐ দম্পতির তিন সন্তান । দুই ছেলে ও এক মেয়ে । মেয়ের বয়স ১৯ বছর ।
advertisement
আরও পড়ুন : অন্যায় প্রতিরোধের পাশাপাশি মানুষও গড়বে কলকাতা পুলিশ
দম্পতির বিয়ে হয় ১৯৮৮ তাঁরা আলাদা হন ১৯৯৭ এ । যতদিন তাঁদের সন্তানরা নাবালক ছিল ততদিন তাদের বাবা - মা ও ৩ সন্তানের ভরন পোষণের দায়িত্ব নেয় । কিন্তু মেয়ের ১৮ বছর সম্পূর্ণ হতেই মেয়ের ভরন পোষণের দ্বায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে ।
হাইকোর্টে এক হলফনামায় মহিলা দাবি করেন । যদিও আজ তাঁর কন্যা সাবালিকা সে তার উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর জন্য মায়ের ওপর নির্ভরশীল ।
মহিলা আরও জানান তাঁর দুই পুত্র এখনও পারিবারিক খরচ বহন করার জন্য প্রস্তুত নয় । একজন তার এডুকেশনাল লোনের টাকা শোধ করছে আর একজন এখনও কোন চাকরি পায়নি ।
বর্তমানে ঐ মহিলা তাঁর স্বামীর থেকে ভরন পোষণ বাবদ ২৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন তিনি আরও অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা দাবি করেন ।
পারিবারিক আদালত বিষয়টিতে অনুমোদন না দিয়ে বলেছে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৫ (১) বি কোড ক্রাইম প্রসিডিওর ধারা অনুযায়ী । ভরন পোষণ কেবলমাত্র নাবালক সন্তানের ক্ষেত্রেই দেওয়া হয় । বিচারক ডেঙরি জানান সংবিধানে আছে প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান ভরন পোষণের আওতায় আসেনা যদি সে শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি না হয় ।
আরও পড়ুন লখনউ : মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা এক মহিলার
কিন্তু অতীতের সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বলা যেতে পারে যদি সাবালক মেয়ে নিজের ভরন পোষণ নিজেই না করতে পারে সে ক্ষেত্রে ভরন পোষণের দাবি তার জানাতেই পারে । সে ক্ষেত্রে তার সে যদি প্রতিবন্ধি না ও হয় তাকে বঞ্চিত করা যাবেনা । এই মর্মে বোম্বে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় পারিবারিক আদালতকে মহিলার দাবি মেনে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে ।