শিফন: সবথেকে নাজুক শাড়ি। রোলার আয়রন ব্যবহার করবেন না, এতে শিফনের স্বাভাবিক ভাঁজ নষ্ট হয়ে যায়। সেফটিপিনও ব্যবহার না করাই ভাল। ভারী এমব্রয়ডারি করা শিফন হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না, নকশার ভারে শাড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।
কোরা, অর্গানজা ও চান্দেরি: মলমলের কাপড়ে জড়িয়ে, লম্বা কাঠের লাঠিতে শাড়ি পেঁচিয়ে রাখুন। কিছুদিন পর পর ভাঁজ খুলে, নতুন করে ভাঁজ করুন, যাতে ভাঁজে ভাঁজে শাড়ি ছিড়ে না যায়। ভুলেও হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না!
advertisement
টিস্যু: বাড়িতে নয়, ভাল দোকানে, একমাত্র বেনারসি শাড়ির কারিগরদের হাতেই ওয়াশ করান। সাধারণ ড্রাই ক্লিনিং করলে, শাড়িতে ভাঁজ পড়ে যেতে পারে।
সুতি: এমনিতে সাধারণ লন্ড্রি বা বাড়িতেই কাচতে পারেন, কিন্তু শাড়িতে জরির কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করাই ভাল। সুতির শাড়িতে স্টার্চ বা মাড় দিতে হয় ঠিকই, কিন্তু জানেন কি, মাড় শাড়ি নষ্ট করে!
আরও কিছু টিপস-
১) দামী শাড়ি মসলিন কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন। এতে শাড়িতে দুর্গন্ধ হয় না, ময়লা, ধুলোবালি লাগারও কোনও সুযোগ থাকে না।
২) মেটাল হ্যাঙ্গারে শাড়ি ঝুলিয়ে রাখবেন না। শাড়িতে মরচের দাগ লেগে যেতে পারে।
৩) ডিটারজেন্ট দিয়ে ধোয়ার থেকে ড্রাই ক্লিনিং করাই ভালো। বিকল্প হিসেবে শ্যাম্পু কিংবা শ্যাম্পু ও ডিটারজেন্টের মিশ্রণও ব্যবহার করতে পারেন।
৪) সরাসরি সূর্যের আলোয় কখনও শাড়ি শুকোবেন না। রং নষ্ট হয়ে যাবে।
৫) কড়া দাগ তুলতে ড্রাই ওয়াশের বিকল্প হিসেবে পেট্রল ব্যবহার করতে পারেন। নেল পলিশের দাগ তুলতে ব্যবহার করুন অ্যাসিটোন। তেলের দাগ তুলতে, ধোয়ার আগে দাগের উপর ট্যালকম পাউডার ও সামান্য ডিটারজেন্ট ঘষে নিন ।
৬) ভারি নকশা কার শাড়ি ভালো রাখতে সবসময় শাড়ির উল্টো দিকটা বাইরের দিকে রেখে ভাঁজ করুন
৭) শাড়িতে সরাসরি সুগন্ধি ছড়াবেন না! স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।
৮) সবসময় হালকা থেকে মাঝারি তাপমাত্রায় শাড়ি ইস্তিরি করুন। বেশি তাপ লাগলে ছাপ পড়ে যাবে।
৯) পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে শাড়ির আশপাশে ন্যাপথালিন বল না রেখে নিম পাতা ব্যবহার করুন।