মালিয়ার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ পরিবর্তন করল কে ? আঙুল উঠছে নরেন্দ্র মোদি ঘনিষ্ঠ সিবিআই অফিসারের দিকে। ওই অফিসারের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বিপত্তি বাধাল সিবিআই। ঘুরপথে কী আঙুল তোলা হল প্রধানমন্ত্রীর দিকে ? রাহুল গান্ধির টুইটেও সেই একই প্রশ্ন।
এতদিন অভিযোগ উঠছিল সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। আরও স্পষ্ট করে বললে, সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর একে শর্মার বিরুদ্ধে। এই অফিসারই বিজয় মালিয়ার লুক আউট নোটিস ডিটেইন থেকে বদলে ইনফর্ম করে দেন। সেটাই কী এবার ঘুরিয়ে দিল সিবিআই ?
advertisement
লুক আউট নোটিস পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত কোনও একজনের নয়। পদ্ধতিগত ভাবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷ সিবিআই তো প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি রিপোর্ট করে। তা হলে এই কথা বলে কী বোঝানো হল ? গোটা দেশের এখন একটাই প্রশ্ন। টুইটে আক্রমণ কংগ্রেস সভাপতির।
সিবিআইয়ের যুক্তি, বিমানবন্দরে মালিয়াকে আটকে থাকার মতো প্রমাণই ছিলনা তাদের হাতে। তবে এক্ষেত্রেও কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরনোর যোগাড় ৷
২০১৬ সালের ৩ মার্চ দেশ ছাড়েন মালিয়া ৷ ওইদিনই মুম্বইতে আসেন সিবিআই ডিরেক্টর ৷ সেখানে মালিয়াকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ত হয় ৷ মালিয়ার বিদেশ পালানোর কথা জানতেন না তিনি ৷ নোটিস লঘু করার ব্যাপারে অন্ধকারে ছিলেন ৷ এমনটাই দাবি তাঁর ৷
আর এখানেই এ কে শর্মার হাতযশ । ৬০ কোটি টাকার বেশি জালিয়াতি হলে সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টরের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাই নেই। তা হলে ৯ হাজার কোটির ঋণ খেলাপে অভিযুক্ত মালিয়ার ব্যাপারে কীভাবে এতবড় সিদ্ধান্ত নিলেন একে শর্মা ? কোন ক্ষমতাবলে ?
৪০টি ব্যাগ ভর্তি জিনিস নিয়ে লন্ডনগামী বিমানে ওঠেন মালিয়া। বিমানবন্দরে অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয় ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর দায়িত্বে। কিন্তু সেখানেও বড়সড় ফাঁক। সবটাই কী পদ্ধতিগত নাকি পিছনে রয়েছে কোনও প্রভাবশালীর ক্ষমতার হাত ?