প্রতি বছর নতুন নতুন ইমোজি তৈরি করে ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম (Unicode Consortium)। তার একটি তালিকাও প্রকাশ করা হয়। এরপর অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়। অনুমোদনের জন্য আসা ইমোজিগুলিতে ভোট প্রক্রিয়া চলে। সেই সদস্যদের মধ্যে থাকে Netflix, Apple, Facebook, Google, Tinder সহ আরও অনেক সংস্থার কর্মকর্তারা। অনুমোদন পাওয়া গেলে ইমোজিগুলি বাজারে ছাড়া হয়। এরপর সেগুলিকে Android এবং iOS মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলি তাদের নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের জন্য প্রেরণ করে। ইউনিকোড কনসোর্টিয়ামে ভোট
advertisement
আরও পড়ুন: একবার বসালে ফুল চার্জ না দিয়ে ফোন তোলেন না? কাজটা ঠিক হচ্ছে তো?
ইতিহাস
১৯৯৯ সালে, জাপানের একটি মোবাইল অপারেটিং সংস্থায় কর্মরত শিগাকাট কুরিতা (Shigetaka Kurita) নামের এক ইঞ্জিনিয়ার প্রথম ইমোজি তৈরি করেছিলেন। মোট ১৭৬ টি ইমোজি তৈরি হয়েছিল। যা মোবাইল ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস আই-মোডের মুক্তির কথা ভাবা হয়েছিল। এরপর ২০১০ সালে ইউনিকোড (Unicode) ইমোজি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর Google, Microsoft, Facebook, এবং Twitter সেই পথ অনুসরণ করে। সম্প্রতি ইউনিকোড 6.0 ভার্সেনের মোট ৯৯৪ টি চরিত্রের ইমোজি তৈরি করেছে। যার মধ্যে পরিবার, হৃদয়, প্রাণী, দেশ, পতাকা, জামাকাপড়, ঘড়ি, খাবার এবং শহরের প্রতীক উপলব্ধ রয়েছে।
তাৎপর্য
২০১৪ সালে ইমোজিপিডিয়ায় ( Emojipedia) প্রতিষ্ঠাতা জেরেমি বুর্গ (Jeremy Burge) ১৭ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইমোজি দিবস হিসাবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। এই দিনেই ইমোজিপিডিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
গত বছর, ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম থেকে মোট ১১০টি ইমোজি প্রকাশ করা হয়েছে। য়ার মধ্যে রয়েছে কান্নার সঙ্গে হাসি যুক্ত মুখ, ট্রান্সজেন্ডার ফ্ল্যাগ, বাবল টি, সন্তানকে দুধ খাওয়ানোর ইমোজি।