ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই অথবা মোবাইল ডেটার মধ্যে যে কোনও একটা ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েডের সঙ্গে কানেক্ট করা যাবে Phone Link। এটি নানা রকম ফিচার প্রদান করে।
আরও পড়ুন- ভয়ঙ্কর ঘটনা নিমতিতায়, রেল লাইনের উপর বোমা রাখার ছক! অল্পের জন্য রক্ষা
Phone Link কী কী করতে পারে?
AirDroid-এর মতো অন্যান্য থার্ড-পার্টি অ্যাপ যে কাজগুলি করে, সেগুলির মতো হয়তো সমস্ত ফিচার পাওয়া যাবে না Phone Link-এ। দেখে নেওয়া যাক Phone Link কী কী কাজ করতে পারে।
advertisement
১. কল করা এবং কল রিসিভ করা
২. মেসেজ পাঠানো এবং মেসেজের রিপ্লাই করা
৩. ফোনের নোটিফিকেশন দেখা
৪. ছবি দেখা এবং ছবি ট্রান্সফার করা
৫. মিডিয়া প্লেব্যাক কন্ট্রোল করা
৬. মিরর অ্যাপ
৭. সঙ্গে সঙ্গে হটস্পট ক্রিয়েট করা
৮. Android এবং Windows-এর মধ্যে কপি-পেস্ট করা
৯. ওয়ায়্যারলেস ভাবে ফাইল শেয়ার করা
আরও পড়ুন- ডিসেম্বরের শেষেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই! মেঘলা আকাশ, ফের বৃষ্টি হবে কি?
যদিও অ্যাপ মিররিং-এর মতো কিছু ফিচার Samsung এবং Honor-এর ফোনে সীমাবদ্ধ হবে। কিন্তু নির্মাতা নির্বিশেষে বেশিরভাগ কার্যকারিতা উপলব্ধ। তবে মাথায় রাখা জরুরি যে, Phone Link ব্যবহার করার জন্য Microsoft অ্যাকাউন্টের প্রয়োজন হবে।
Microsoft Phone Link সেট-আপ করার উপায়:
বেশিরভাগ PC-তে Microsoft Phone Link প্রি-ইনস্টল করা থাকে। কিন্তু কোনও কারণে এই অ্যাপ না থাকে, তাহলে সেটা ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে হবে Microsoft Store থেকে।
Samsung, Realme-এর মতো কিছু সংস্থার কিছু ফোনে Link to Windows অ্যাপ থাকে। কিন্তু এটা প্রিইনস্টল করা না থাকলে সরাসরি Google Play Store-এ গিয়ে সেটা ডাউনলোড করতে হবে Link to Windows অ্যাপ।
একবার সেটা হয়ে গেলে নিজের PC-তে Phone Link অ্যাপ খুলতে হবে এবং স্ক্রিনে যা ভেসে উঠবে, সেখান থেকে Android বেছে নিতে হবে। এরপর নিজের ফোনটি হাতে হবে। Link to Windows অ্যাপটি চালু করতে হবে এবং Windows PC-তে ব্যবহার করা একই মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্টে সাইন-ইন করতে হবে।
এবার কিউআর স্ক্যান করতে হবে নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি দিয়ে। এরপর সংশ্লিষ্ট অ্যাপকে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিতে হবে। তারপর এগিয়ে যেতে হবে। ফোনের যদি অতিরিক্ত অনুমতির প্রয়োজন হয়, তাহলে সেই অনুমতি দিতে হবে।