এদিকে, এরই মাঝে এক ভয়ঙ্কর সতর্কবাণী শোনালেন এক বিশেষজ্ঞ। সকলকে সতর্ক করে তিনি জানালেন যে, এআই সমস্ত কিছুর জায়গা নিয়ে নেবে। ফলে এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এক অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাবে। পড়ে থাকবে শুধু ১০০ মিলিয়ন মানুষ। ২৩০০ সাল থেকে ২৩৮০ সালের মধ্যে পৃথিবীর বেশির ভাগ শহরই যেন শ্মশানে পরিণত হবে।
advertisement
ভারতীয় বংশোদ্ভূত কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক সুভাষ কাক বর্তমানে ওকলাহোমা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করেন। ব্রিটেনের বহুলপ্রচলিত সংবাদপত্র দ্য সান-এর কাছে এই ভয়ঙ্কর সতর্কবাণী ঘোষণা করেছেন তিনি। অধ্যাপক সুভাষ কাকের ভবিষ্যদ্বাণী, এআই বহু চাকরির জায়গা নিয়ে নেবে। যার ফলে চাকরির সংস্থান কমে যাওয়ায় পৃথিবীতে ছোট ছোট শিশুদের মানুষ করা মুশকিল হয়ে উঠবে।
সব কিছুই বদলে যাবে?
অধ্যাপক সুভাষ কাক বলেন যে, কম্পিউটার অথবা রোবট কখনওই সচেতন নয়। কিন্তু আমরা যা যা করি, তারা সেগুলি সবই করবে। কারণ আমরা আমাদের জীবনে যা যা কাজ করি, তার জায়গা তারা অচিরেই নিয়ে নেবে। সমস্ত কিছু এমনকী অফিসে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টাও পরিবর্তন করা যাবে। তাই এটি সমাজ এবং বিশ্ব সমাজের জন্য ধ্বংসাত্মক হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- জীবনের প্রথম বাইক কিনবেন ভাবছেন? ঠিক মডেল না বাছলেই মুশকিল, রইল টিপস
তিনি আরও বলেন যে, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যাবে যে, সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ব্রিটেনের বর্তমান জনসংখ্যা বা প্রায় ৭০ মিলিয়নের কাছাকাছি চলে যাবে। নিউ ইয়র্ক অথবা লন্ডনের মতো বড় বড় শহরগুলি পরিত্যক্ত হয়ে যাবে। অনেকটা শ্মশানের মতো সুনসান হয়ে উঠবে। জনসংখ্যাবিদদের পরামর্শ, এর ফলস্বরূপ গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা ধসে যাবে। ২৩০০ সাল থেকে ২৩৮০ সালের মধ্যে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা ১০০ মিলিয়নের কাছাকাছিতে নেমে আসবে। যেখানে বিশ্বের বর্তমান জনসংখ্যা ৮ বিলিয়ন।
জনজীবন কি বিলুপ্তির পথে?
ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক সুভাষ কাক বলেন যে, জন্মহারও কমে যাবে। কারণ পরবর্তী কালে কর্মসংস্থানে ভাটা পড়বে বলে মানুষের মধ্যে সন্তানধারণেও অনীহা দেখা দেবে। ইউরোপ, চিন, জাপান এবং কোরিয়ায় জনসংখ্যা ব্যাপক হারে কমছে। একই কথা শোনা গিয়েছিল টেক কোটিপতি ইলন মাস্কের মুখেও। এআই-এর আবিষ্কার এবং জন্মহার হ্রাস পাওয়ার কারণে জনজীবন বিলুপ্তির পথে চলে যাবে। দ্য সান-এর কাছে সুভাষ কাক বলেন যে, সেই কারণেই মাস্ক বলছেন, মানুষের মহাকাশে যাওয়া উচিত। সেখানে গিয়েই জনবসতি গড়ে তোলা উচিত। যাতে বিশ্বের কোনও মর্মান্তিক পরিণতি হলেও এটি পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠতে পারে।