– যদি গাড়ি খুবই পুরনো হয়, তার বয়স ১৫ বছর বা তার বেশি হয়, তাহলে বিমা সংস্থা টাকা দিতে চায় না। এক্ষেত্রে গাড়ি পুরনো, তা খারাপ হওয়ারই কথা, এই যুক্তি দেখানো হয়।
আরও পড়ুন- আরশাদকে আমন্ত্রণ জানানোয় কটাক্ষের মুখে নীরজ! অবশেষে মুখ খুললেন সোনার ছেলে
– গাড়ির মালিক যদি অতীতে একাধিকবার কার ইনস্যুরেন্সের টাকা ক্লেম করে থাকেন বা কার ইনস্যুরেন্সের টাকা আদায়ের জন্য প্রতারণা করেন, তাহলে তাঁর প্রোফাইল ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। এক্ষেত্রে বিমা সংস্থা টাকা দিতে চায় না।
advertisement
– গাড়িতে যদি অনেক বদল আনা হয়, যেমন ইঞ্জিন বদল, বডি বদল ইত্যাদি, তাহলেও বিমা সংস্থা টাকা দিতে চায় না। কেন না, যে গাড়ির জন্য বিমা নেওয়া হয়েছিল, কার্যত সেই গাড়ি আর নেই, তা পুরোটাই বদলে গিয়েছে।
– যদি গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের তথ্যে কোনও গরমিল থাকে, বিমা সংস্থা টাকা দেবে না।
– রেজিস্ট্রেশনের প্রসঙ্গে গাড়ির মালিকানার বিষয়টিও আসে। ধরা যাক, কেউ একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনেছেন। কিন্তু, আগের মালিক গাড়ির মালিকানা স্থানান্তর করলেন না, গাড়ি তাঁর নামেই রইল। এক্ষেত্রে, নতুন মালিককে বিমা সংস্থা টাকা দেবে না।
– রেজিস্ট্রেশনের তথ্যের পরে আসে গাড়ি সংক্রান্ত অন্য নথির কথা। এর মধ্যে রয়েছে পুরনো বিমার কাগজ, আরসি, দূষণ সার্টিফিকেট ইত্যাদি। এগুলো যদি কারও কাছে না থাকে, তাঁকে বিমা দেওয়াই হয় না!
– অনেকে প্রশ্ন তুলতেই পারেন যে এরকম কেন হবে! কিন্তু গাড়ি যদি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকে, তাহলেও কার ইনস্যুরেন্সের টাকা পেতে ঝামেলা হয়। যে এলাকা অত্যধিক দুর্ঘটনাপ্রবণ, যেখানে গাড়ি চুরি বেশি হয়, সেখানে বিমা সংস্থা টাকা দিতে চায় না।
তাই, নতুন বা পুরনো, যে কোনও গাড়ি কেনার আগে ইনস্যুরেন্সের সব শর্ত এবং খরচ ভালভাবে জেনে নেওয়া উচিত। কেন না, এখানে বিমা প্রিমিয়ামের প্রশ্নটাও জড়িত থাকে। একটি গাড়ির বিমা প্রিমিয়াম মেরামতের খরচ, সেফটি রেকর্ড এবং চুরির সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে নির্ধারিত করা হয়। অনেক কোম্পানি ইনস্যুরেন্স নেওয়ার সময় মূল্যে ছাড়ের অফারও দিয়ে থাকে যার ফলে প্রিমিয়ামের জন্য অতিরিক্ত খরচ কিছুটা হলেও কমে যায়। এই কারণে গাড়ির বিমা নেওয়ার আগে বিভিন্ন কোম্পানির পলিসির মধ্যে তুলনা করে সিন্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।