তবে ‘স্মার্ট সিটি’ শব্দ ব্যবহার করলেও এর প্রকৃত অর্থ অনেকেই জানেন না। স্মার্ট সিটি কী? কীভাবে স্মার্ট সিটি নির্বাচন করা হয়? এর উত্তর খুব কম মানুষই জানেন। অনেকে স্মার্ট সিটিতে বাড়ি কিনতে চান। কিন্তু সেই সিটি আদৌ ‘স্মার্ট’ না কি তাকে ‘স্মার্ট’ বলে চালানো হচ্ছে, না জানলে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরের দেওয়ালে ড্যাম্প ধরছে ? ছোট এই ডিভাইস লাগালেই মুহূর্তের মধ্যে মিলবে মুক্তি
স্মার্ট সিটি কী: স্মার্ট সিটির কোনও সর্বজনস্বীকৃত সংজ্ঞা নেই। বিভিন্ন দেশে এর সংজ্ঞা আলাদা। আবার এক রাজ্যের স্মার্ট সিটির ধারণা অন্য রাজ্যের সঙ্গে নাও মিলতে পারে। আসলে সবটাই নির্ভর করছে সেই দেশ বা রাজ্যের সম্পদ, ভৌগোলিক অবস্থান এবং অন্যান্য কয়েকটি বিষয়ের উপর।
আরও পড়ুন: লক করার পরে Aadhaar Card আর আনলক করতে পারছেন না? জেনে নিন এবার কী করবেন
ভারতে স্মার্ট সিটির কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট রয়েছে। যেমন পর্যাপ্ত জল এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্যানিটেশন, উন্নত পরিবহন, সাশ্রয়ী আবাসন, আইটি সংযোগ এবং ডিজিটালাইজেশন, সুশাসন, ই-গভর্নেন্স, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ব্যবস্থা, নাগরিকদের বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্কদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ইত্যাদি।
কীভাবে বাছা হয়: এখন প্রশ্ন হল, স্মার্ট সিটি কীভাবে বাছা হয়? এর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রথম ধাপে সম্ভাব্য স্মার্ট শহর বাছার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠি পাঠানো হয়। কোন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে কতগুলি স্মার্ট শহর দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতেই দেওয়া হয় চিঠি।
রাজ্যের উত্তরের উপর ভিত্তি করে শহর বেছে নেওয়া হয় যেগুলোকে স্মার্ট সিটি করা হবে। এবার পরামর্শকের সাহায্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়। বহিরাগত সংস্থাও এই কাজ করতে পারে। দ্বিতীয় ধাপে এইসব শহরের নাম ডেটা নগর উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়। বিশেষজ্ঞ প্যানেল খতিয়ে দেখে নির্বাচিত শহরগুলিকে স্মার্ট সিটি ঘোষণা করে।
টাকা কে দেয়: স্মার্ট সিটি মিশন কেন্দ্রীয় স্পনসর্ড স্কিম। এর জন্য পাঁচ বছরে ৪৮ হাজার কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে। প্রতিটি শহরকে বছরে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। একই পরিমাণ টাকা দেয় রাজ্যও।