ফেসবুকের কাছে বিক্রি হওয়ার আগে যিনি হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিগন্যাল অ্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন, ব্রায়ান অ্যাক্টন বলেছিলেন, "আমরা গত কয়েকদিনে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি দেখেছি।" তবে তিনি এখনও কোনও তথ্য পাবলিক করেননি। তিনি বলেছিলেন যে গত সপ্তাহে আমরা অনেক বৃদ্ধি রেকর্ড করেছি। ব্যবহারকারীর সংখ্যাতে রেকর্ড বৃদ্ধির কারণে আমরা বড় আকারে নিয়োগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
advertisement
ব্রায়ান বলেছিলেন যে সিগন্যাল তার ভিডিও এবং গ্রুপ চ্যাট বৈশিষ্ট্যগুলির উন্নতির দিকে কাজ করছি। সেন্সর টাওয়ারের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত দিনে ১.৭৮ কোটি ব্যবহারকারী সিগন্যাল অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ৬২ গুণ বেশি। এই সময়ে, ১.০৬ কোটি ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করেছেন যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।
নিজেরদের বাড়তি জনপ্রিয়তা দেখে নিজেদের অ্যাপে একাধিক নতুন ফিচার আনতে চলেছে সিগন্যাল। সংস্থার তরফে অফিসিয়াল ট্যুইটার (Twitter) হ্যান্ডেলে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, চ্যাট ওয়ালপেপার, অ্যানিমেটেড স্টিকার-সহ একাধিক নতুন ফিচার আনতে চলেছে তারা। সঙ্গে আনা হচ্ছে সিগন্যাল প্রোফাইলও। iOS ব্যবহারকারীদের জন্য মিডিয়া অটো ডাউনলোড সেটিং ও স্ক্রিন জুড়ে প্রোফাইল পিকচার দেখার সুবিধাও করা হচ্ছে। এই ফিচারগুলি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য ইতিমধ্যেই রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে কিছুদিন আগেই জানানো হয়েছে ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অধীনস্থ যে কোনও সংস্থা এমনকি ফেসবুক (Facebook)-এও শেয়ার হতে পারে। এর পাশাপাশি সব সময়ে ব্যবহারকারীর লোকেশন ডেটাও ট্র্যাক করতে পারবে অ্যাপটি। তার পর থেকেই এই অ্যাপ ছেড়ে টেলিগ্রাম (Telegram) ও সিগন্যালের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে মানুষজন। Tesla-র কর্ণধার এলন মাস্কও (Elon Mask) মানুষজনকে হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে সিগন্যাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এদিকে, হঠাৎ করে এত মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করায় স্বাভাবিক ভাবেই এক দিকে যেমন লাভের মুখ দেখছে সংস্থা, তেমনই অন্য দিকে চাপেও তারা। কারণ অ্যাপটিতে ব্যবহারকারীদের চাহিদা মতো প্রচুর আপডেট আনা প্রয়োজন। হোয়াটসঅ্যাপের মতোই অধিকাংশ ফিচার রয়েছে সিগন্যালে। তবে এখানে চ্যাট ব্যাক-আপের অপশন নেই। এক্ষেত্রে উপযুক্ত সম্মতি ছাড়া অন্য কাউকে সহজে গ্রুপে অ্যাড করা যায় না। পাশাপাশি ভিডিও কলেও মানুষজনকে অ্যাড করার লিমিট ছিল। এই লিমিট সম্প্রতি পাঁচ থেকে আট জন করেছে সংস্থা।