আরও পড়ুন:
গুরুগ্রামের ২৫ বছর বয়সী এক যুবক হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কল পেয়েছিলেন। ওই যুবকের বাবা আবার দায়রা আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘটনার সময় ওই যুবক গুরুগ্রামের সেক্টরে ১৭-এ নিজের বাবার দফতরেই ছিলেন। রবিবার রাত ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ দফতরে থাকাকালীন হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন কল পান তিনি। ফোনটা ধরতেই দেখেন অপর প্রান্তে এক মহিলা নিজের জামাকাপড় খুলছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঘুরে গিয়েছিল ওই যুবকের। তড়িঘড়ি ফোনটি কেটে দেন তিনি। এর পরেই শুরু হয় আসল ঘটনা। মহিলা ওই ভিডিও-র স্ক্রিনশট বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে দেওয়ার নাম করে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন: কুলার বা এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালালে ঘর কি বেশি ঠান্ডা হবে? কোথায় হচ্ছে ভুল? জানলে চমকে যাবেন
ওই যুবকের বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন যে, ছেলে আমার উপস্থিতিতেই ফোনটি ধরেছিল। সেই ফোন ধরতেই দেখে অপর প্রান্তে এক মহিলা জামাকাপড় খুলতে শুরু করেছে। ওই অবস্থা দেখে ঘটনাস্থলেই প্রায় অজ্ঞান হয়ে যায় ছেলে। এর পরেই তার নম্বরে কেউ আপত্তিকর ছবি পাঠাতে শুরু করে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি মেসেজও আসতে থাকে। এর পর একটি অপরিচিত নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে।
আরও পড়ুন:
অভিযোগকারীর বাবার দাবি, অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত কেউ তাঁদের সুনাম নষ্ট করার জন্য এবং টাকা হাতানোর জন্যই এই সব করছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এমনটা নতুন কিছু নয়। অনেকের সঙ্গেই ঘটতে পারে এই ঘটনা। এমনটা ঘটলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। নিকটবর্তী থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে হবে। আইটি আইনের ৬৭এ ধারা এবং আইপিসি-র ২৯২ ধারার অধীনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারেন।