আসলে গাড়ির ভিতরে একটা বাটন বা বোতাম থাকে, যা গাড়িকে দ্রুত ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। একে এয়ার রিসার্কুলেশন বলা হয়। এর মাধ্যমে আসলে গাড়ির ভিতরের বাতাস কম সময়েই ঠান্ডা হয়ে যায়, ফলে আরোহী গরম থেকে স্বস্তি পান। আসলে এয়ার রিসার্কুলেশন বাটনে চাপ দিলেই এয়ার রিসার্কুলেশন সিস্টেম কাজ করতে শুরু করে। সাধারণত গ্রীষ্মকালেই এই ফিচারটি ব্যবহৃত হয়। কারণ বাইরের আবহাওয়া গরম থাকে। ফলে গরমের দিনে বাইরের বাতাস টেনে গাড়ির ভিতরটা ঠান্ডা করতে হিমশিম খেতে হয় গাড়ির এসি-কে। ফলে এই পরিস্থিতিতে এসি-র সাহায্যে গাড়ির কেবিন ঠান্ডা করতে বেশি সময় লেগে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন– মঙ্গলের অবস্থান পরিবর্তনে এবার স্বপ্ন সত্যি হবে, জেনে নিন কীভাবে
তবে যদি এয়ার সার্কুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়, তাহলে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই গাড়ির কেবিন ঠান্ডা হয়ে যাবে। আসলে রিসার্কুলেশন সিস্টেম অন থাকলে গাড়ির এসি কেবিনকে ঠান্ডা করতে বাইরের গরম বাতাস ব্যবহার করে না। এটা গাড়ির ভিতরের অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা বাতাসই ব্যবহার করে থাকে।
গাড়ির কেবিনের বাতাস অল্প ঠান্ডা হলেই এয়ার রিসার্কুলেশন সিস্টেম অন করে দেওয়া যেতে পারে। এতে গাড়ির ভিতরটা আরও দ্রুত ঠান্ডা হতে শুরু করে। তাই গরমের দিনে এই সিস্টেম ব্যবহার করা উচিত।
আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে সাধারণত এয়ার রিসার্কুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। তবে শীতকালে কিন্তু গাড়ি ঠান্ডা করতে না হলেও একটা কাজের জন্য তা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ঠান্ডার মরশুমে কুয়াশার কারণে গাড়ির কাচ ঝাপসা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করার জন্যই গাড়ির কেবিনের ভিতর এয়ার রিসার্কুলেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। যাতে বাইরের দৃশ্য স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়।