নিজস্ব এআই সিস্টেম প্রণয়ন করতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুত সংশ্লিষ্ট সংস্থা। যাতে মানুষ ফাঁদে না পড়েন, তার জন্যই সাহায্য করছে তারা।
কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের ঝুঁকি সম্পর্কেও সচেতন Google। সেই সঙ্গে যাতে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি না হয়, এর জন্য তারা ওই সব অ্যাপের কার্যকলাপের উপরেও নজরদারি চালাবে।
আরও পড়ুন- ক্রিকেট ভালবাসেন? বলুন তো, পিচ-এর মাপ সব সময় ২২ গজ হয় কেন? পারলে আপনি জিনিয়াস
advertisement
Google Spam এবং Dangerous App Alert টুল: এটা কীভাবে কাজ করে?
Pixel ফোনের মাধ্যমেই Phone অ্যাপের উপরেও কাজ করবে এই স্প্যাম ডিটেকশন। আসলে এই অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের জন্য আগে থেকেই ইনস্টল করা থাকে। প্রাথমিক ভাবে Google নিজেদের এআই টেক ব্যবহার করে কলের সম্ভাব্য ঝুঁকি নির্ধারণ করে। সেই সঙ্গে ব্যবহারকারীদের সতর্কও করে দেয়। আর সতর্কতা হিসেবে ভেসে ওঠে একটি লেবেল।
যেখানে লেখা থাকবে – Likely scam – Suspicious activity detected for this call। এবার ব্যবহারকারী চাইলে সেই কলটি কেটে দিতে পারেন। অথবা সেটিকে not a spam টগলের সাহায্যে মার্ক করে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন- নিলামে দর ওঠে কোটি-কোটি টাকা, কিন্তু আইপিএলে প্লেয়াররা হাতে পায় কত?
স্প্যাম কল ডিটেক্ট করার ক্ষেত্রে Google-এর পদ্ধতির একটা ফারাক রয়েছে। আর সেটা হল- এটি মূলত ডিভাইসের মেশিন লার্নিংয়ের উপর নির্ভরশীল। যা রিয়েল-টাইমে কল বিশ্লেষণ করতে পারে। সেই সঙ্গে কথোপকথনের টোন এবং প্যাটার্নের উপর ভিত্তি করে এর প্রকৃতি নির্ধারণ করতে পারে। Google নিশ্চিত করেছে যে, কোনও কল রেকর্ড করা হয় না অথবা সার্ভারে স্টোরডও থাকে না। স্প্যাম অ্যালার্টের বিকল্প আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যাবে।
একই ভাবে, ব্যবহারকারীদের আরও একটি সাহায্যকারী টুল রয়েছে। যা ম্যালিশিয়াস অ্যাপ দ্বারা সৃষ্ট যে কোনও আশঙ্কা বা ঝুঁকি শনাক্ত করতে পারে। সংশ্লিষ্ট সংস্থা আরও একবার আচরণ শনাক্ত করার জন্য এআই ব্যবহার করছে। যদি কোনও রকম সন্দেহজনক কার্যকলাপ Google-এর চোখে পড়ে, তাহলে উদ্বেগ সংক্রান্ত বিষয়ে অ্যাপের সাহায্যে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে দেবে তারা। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে তা মুছে ফেলারও নির্দেশ দেবে।
আপাতত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Pixel ব্যবহারকারীদের এই সমস্ত টুল অফার করছে Google। আর এর সুবিধা লাভ করার জন্য Google বিটা প্রোগ্রামে সাইন-আপ করতে হবে ব্যবহারকারীদের। আর এই সমস্ত টুলের সুবিধা পেতে গেলে ব্যবহারকারীদের কাছে থাকতে হবে Pixel 6 অথবা তার হায়ার মডেল।
আপাতত আমাদের আশা, ধীরে ধীরে ভারতের মতো বাজারেও কল ডিটেকশন অ্যালার্ট টুল আনবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। আসলে ভারতের মতো দেশে স্প্যাম অন্যতম বড় আশঙ্কার বিষয় হয়ে উঠেছে।