এখন অনেকে বলতে পারেন, দামি হেলমেট তো কিনেছি, আর নিশ্চয় চিন্তা নেই। আসলে বাইক যেমন শুধু কিনলেই হয় না, রক্ষণাবেক্ষণও করতে হয়, হেলমেটও তেমনই। এখানে হেলমেট ভাল রাখতে কীভাবে পরিষ্কার করতে হয়, তার স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেওয়া হল।
ভাইসর পরিষ্কার এবং স্ক্র্যাচমুক্ত রাখা: বাইক চালানোর সময় চোখে কিছু পড়লে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হেলমেটের ভাইসর চোখমুখকে ধুলোবালি থেকে রক্ষা করে। এর ভূমিকা তাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাইসরে প্রচুর স্ক্র্যাচ থাকলে দৃশ্যমানতা কমে যায়। বিশেষ করে অন্ধকারে।
advertisement
আরও পড়ুন- ইয়ারফোন এমন বিপদ ডেকে আনতে পারে! যুবকের সঙ্গে যা হল, ভয়ানক কাণ্ড
আবার মুখের উপর উল্টোদিক থেকে আসা গাড়ির হেডলাইটের আলো পড়লেও এমনটা হতে পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ভিসর পাল্টে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনও বাইক মেরামতির দোকানে থেকেই ভিসর পাল্টানো যায়।
ভিতরের আস্তরণ এবং প্যাড পরিষ্কার করা: চুলে জেল বা অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করলে ঘাম এবং ধুলোর সঙ্গে মিশে চিটচিটে হয়ে যায়। হেলমেট থেকেও দুর্গন্ধ ছাড়ে। তাই প্রতি তিন থেকে চার মাস অন্তর হেলমেট ভাল ভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
হেলমেটে দুটি ভিন্ন কনফিগারেশন রয়েছে, অভ্যন্তরীন আস্তরণ এবং প্যাড। এর মধ্যে কিছু সম্পূর্ণভাবে অপসারণযোগ্য। কিন্তু বাকি জিনিস খোলা যায় না। যেগুলো খোলা যায় যেমন প্যাড এবং আস্তরণ বের করে বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে প্রায় ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে।
তারপর জল দিয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। আর যদি প্যাড এবং আস্তরণ বের করা না যায় তাহলে বেবি শ্যাম্পুর দ্রবণে পুরো হেলমেটটা ডুবিয়ে দিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে রোদে।
আরও পড়ুন- প্যান্টের পকেটে মোবাইল রাখার আগে সাবধান! এই তরুণীর সঙ্গে যা হল, শুনলে চমকে উঠবেন
স্ট্র্যাপ বদল: ভাল হেলমেটের স্ট্র্যাপ সারাজীবন টিকে যায়। কিন্তু কোনও কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে পাল্টে নেওয়াই ভাল। হেলমেটের দোকানেই স্ট্যাপ কিনতে পাওয়া যায়। সেখান থেকে বদলে নিলেই হল।
বাইরের অংশ পরিষ্কার: বেবি শ্যাম্পুতে নরম স্পঞ্জ বা সুতির কাপড় ভিজিয়ে হেলমেটের বাইরের অংশ পরিষ্কার করতে হয়। ধুলোবালি, ময়লা থাকবে না। হেলমেটও দেখাবে নতুনের মতো। সব হয়ে গেলে উচ্চ মানের কার ওয়াক্স দিয়ে পালিশ। তবে ম্যাট ফিনিশ হেলমেট হলে পালিশ না করাই উচিত।