আইটি মন্ত্রক ‘আইটি ইন্টারমেডিয়াটারি রুল’ মূল্যায়ন করে থাকে৷ নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ দিনের মধ্যে গ্রিভান্স আপিল কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে থাকবেন সরকারি কর্মকর্তারা। মনে করা হচ্ছে, এর ফলে ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও ব্যক্তি কমিটির কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। কমিটি ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে। সেই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য হবে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি।
advertisement
আরও পড়ুন-দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২০৯ কোটি টাকার মুনাফা বন্ধন ব্যাঙ্কের
এর ফলে কী হবে?
নির্দেশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে সেই পোস্ট বা বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলতে হবে।
জানানো হয়েছে, ভারতের ঐক্য, অখণ্ডতা, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করে এমন কোনও বিষয়বস্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যাবে না, বিদেশ নীতি বা বৈদেশিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন পোস্ট, ভাইরাস বা স্প্যাম ছড়ানো উপাদান, আর্থিক লাভের জন্য পরিকল্পিত মিথ্যা প্রচার এবং যা প্রতারণা, কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার ক্ষতি করতে পারে বলে মনে হয়, এমন কোনও বিষয়বস্তু প্রচারেও বিধি নিষেধ জারি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- ট্যুইটারের সম্পূর্ণ দায়িত্বে এলন মাস্ক, বিতাড়িত সিইও এবং সিএফও
সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে, কোনও ব্যবহারকারী তাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এমন কোনও কনটেন্ট বা পোস্ট আপলোড, শেয়ার বা প্রদর্শন করবেন না যা অন্য ব্যক্তির অধিকারে হস্তক্ষেপ করে। অশ্লীল, অপমানজনক, শিশু যৌন নির্যাতন, অন্যের গোপনীয়তার সঙ্গে সম্পর্কিত, জাত, বর্ণ, জন্ম বা অর্থ পাচারের ভিত্তিতে হয়রানিমূলক, বা দেশের যে কোনও আইন লঙ্ঘন করে এমন সামগ্রী প্রচার করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, দেশে সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বহুদিন ধরেই সরব ব্যবহারকারীরা। এই নিয়ে একাধিক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বিবাদেও জড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তৎকালীন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের পারস্পরিক তোপ দাগাদাগি নিয়েও বহু চর্চা হয়। এই নিয়ে অবশেষে নয়া নিয়ম আনতে চলেছে কেন্দ্র। তবে এর ফলে ব্যবহারকারীরা কতটা উপকৃত হন সেটা সময়ই বলবে।