এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর নানা ফিচার—
সুবিধা
রয়্যাল এনফিল্ডের নতুন এই বড় ক্রুজার বাইকটির ডিজাইন নিঃসন্দেহে সুন্দর। এতে রয়েছে সব রকম আধুনিক প্রযুক্তি এবং ফিচার। একাধিক ভেরিয়েন্ট এবং রং পাওয়া যাবে এই মডেল। কিছু ভাল দিকের কথা এখানে উল্লেখ করা হল—
১. ডিজাইন - বিগ বাইক ফিল
ডিজাইন এই বাইকের অন্যতম সেরা দিক। যদিও পূর্বসূরী Meteor 350 –এর থেকে খানিকটা অনুপ্রাণিত, তবু এর চেহারার আভিজাত্যে মন ভরবেই। বাঁকানো ফ্রন্ট ফেন্ডার হোক বা টিয়ারড্রপ-আকৃতির জ্বালানী ট্যাঙ্ক অথবা, প্রায় গোলাকার রিয়ার ফেন্ডার—সবই দারুন আকর্ষক। এটিতে একটি রেট্রো ক্রুজার লুক রয়েছে। বাইকটিতে বেশ খানিকটা স্পোর্টি ফিলিং-ও পাওয়া যেতে পারে। ডুয়াল টোন পেন্ট শেড এর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়; ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অ্যামাজন-এর দুর্দান্ত সেল
২. ফিচার
এর আগে Inspector 650-এর ক্ষেত্রেও অসাধারণ সব ফিচার পাওয়া গিয়েছিল। তবে Super Meteor আরও এক ধাপ এগিয়ে। এতে রয়েছে একটি এলইডি হেডলাইট, এলইডি টেললাইট এবং এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর। এছাড়া রয়েছে ব্লুটুথ স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি-সহ স্ট্যান্ডার্ড ট্রিপার নেভিগেশন। আরোহী পথ চলতে চলতেই সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দেখে নিতে পারবেন এর ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের সাহায্যে। রয়্যাল এনফিল্ড এটিকে একটি ECO রাইডিং লাইট দিয়ে তৈরি করেছে যা জ্বালানী সাশ্রয়ে সক্ষম।
৩. আরামদায়ক ভঙ্গি
Super Meteor-এর আর একটি ভাল দিক হল এর আকৃতি, যা আরোহীকে আরামদায়ক ভঙ্গিতে বসার সুযোগ করে দেয়। একটি ক্রুজারের প্রাথমিক লক্ষ্যই হয় সর্বাধিক আরাম প্রদান। চওড়া হ্যান্ডেলবার, অতিরিক্ত কুশন সিট যা কম ঝাঁকুনি দেয় এবং সামনের সরল ফুটপেগ আরোহীর আরাম নিশ্চিত করে। পিছনের যাত্রী ডিলাক্স ফুটপেগের পাশাপাশি একটি ব্যাকরেস্টের সুবিধাও পেতে পারেন।
৪. শক্তিশালী ইঞ্জিন ও স্পেসিফিকেশন
এটি একটি ৬৫০সিসি বাইক, তাই Continental GT 650-এর অনেক ফিচার এতে রয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও Super Meteor এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। এতে রয়েছে দু’টি ৬৪৮ সিসি সমান্তরাল ইঞ্জিন, যা ৪৭ বিএইচপি পিক পাওয়ার এবং ৫২.৩ এনএস পিক টর্ক তৈরি করতে পারে।
এতে রয়েছে USD ফ্রন্ট সাসপেনশন এবং ডুয়াল-স্প্রিং রিয়ার সাসপেনশন। সামনের টায়ারটি একটি ১৯ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল এবং পিছনেরটি ১৬ ইঞ্চি টিউবলেস অ্যালয় হুইল৷
৫. উন্নত গুণমান
নতুন Super Meteor-এর ক্ষেত্রে রয়্যাল এনফিল্ড আরও উন্নতি করেছে। এটি সামগ্রিক ভাবে অনবদ্য। EICMA-তে রয়্যাল এনফিল্ড নিজেই দাবি করেছে যে Super meteor-ই হল এখন পর্যন্ত তাদের সবচেয়ে পরিমার্জিত পণ্য।
অসুবিধা
তবে এত কিছুর পরেও এই বাইকে কিছু অসুবিধা রয়েই গিয়েছে। সেগুলির কথা না বললেই নয়।
আরও পড়ুন- বিএসএনএলের ১০৭ টাকার ধামাকা প্ল্যান; বেনিফিট জানলে অবাক হবেন
১. ভারী ওজন
এটি ভীষণ ভারী একটি মোটর বাইক হতে চলেছে। Super Meteor-এর কার্ব ওজন দাঁড়িয়েছে ২৪১ কিলোগ্রাম (শুকনো)। এর আগে Interceptor 650-এর ওজন ছিল ২০২ কিলোগ্রাম (শুকনো)। অর্থাৎ প্রায় ৩৯ কিলোগ্রাম অতিরিক্ত ওজন রয়এছে এর। ফলে গতি ও চালচলনের উপর প্রশ্ন চিহ্ন পড়ে যাচ্ছে। সংস্থার তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, আঁকাবাঁকা রাস্তায়ও সমান দক্ষতায় চলতে পারবে এই বাইক।
২. জ্বালানী সাশ্রয়
একটি হালকা বাইক শুধু একটি দ্রুতগতির জন্যই নয় বরং এর কার্যকারিতার জন্যও পরিচিত। ২৪১ কেজির একটি বাইক যে জ্বালানীর দিক থেকে খুব সাশ্রয়ী হবে না তা বোঝাই যাচ্ছে। এ বিষয়ে কোনও কথা বলেনি রয়্যাল এনফিল্ড-ও।
৩. দাম
Super Meteor শীঘ্রই এর লঞ্চের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। সম্ভবত গোয়ায় লঞ্চ করা হবে এই বাইক। কিন্তু তার দাম কত হতে পারে ভারতে তা নিয়েই এখন যাবতীয় জল্পনা। মনে করা হচ্ছে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার থেকে শুরু করে ৩ লক্ষ ৫০ হাজারের (এক্স শো-রুম) মধ্যে থাকতে পারে।