চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিও-এর মোবাইল ডেটা ট্র্যাফিক ৫০ হাজার পেটাবাইটে (১০০০ টেরাবাইটে ১ পেটাবাইট হয়) পৌঁছেছে। বার্ষিক বৃদ্ধির হার ২৪ শতাংশ। জিও-এর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী চায়না মোবাইলের ডেটা ট্র্যাফিক পৌঁছেছে ৪০ হাজার পেটাবাইটে। এই সময় তাদের বার্ষিক বৃদ্ধির হার ২ শতাংশ ছিল।
জিও-এর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে ৫জি সাব স্ক্রাইবার বেস। যা ১৩০ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ১৪৭ মিলিয়নে পৌঁছেছে। কোম্পানির ইউজার প্রতি গড় আয় (ARPU) ১৮১.৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯৫.১ টাকা। টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা ট্রাই-এর তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জিও-এর মোট সাবস্ক্রাইবার বেস ৪৭১ মিলিয়ন।
advertisement
এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে প্রতিশ্রুতি পালন এবং সাশ্রয়ী মূল্যে স্থায়ী পরিষেবা। ২০২৪ সালে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় এমনটাই বলেন সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। তাঁর কথায়, “আট বছরে জিও বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল ডেটা কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে এই পরিষেবা সকলের জন্য সহজলভ্য করেছি। বর্তমানে জিও-এর ডেটার মূল্য বিশ্ব গড়ের এক চতুর্থাংশ এবং উন্নত দেশগুলির তুলনায় মাত্র ১০ শতাংশ।”
মুকেশ আম্বানি আরও জানান যে, জিও-এর গ্রাহকরা প্রতি মাসে গড়ে ৩০ জিবি-এর বেশি ডেটা ব্যবহার করেন। যার কারণে গত বছরে ডেটা ট্র্যাফিকে ৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল। একইসঙ্গে বিশ্বের মোট ডেটা ট্র্যাফিকে ৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে জিও-এর, যা কোম্পানিকে বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা সংস্থায় পরিণত করেছে। আর বিশ্বের মধ্যে সর্ববৃহৎ ডেটা বাজার হয়ে উঠেছে ভারত। এমনটাই বলেছেন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি।
অন্য দিকে, গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃত্তম মোবাইল অপারেটর হিসাবে উঠে এসেছে চায়না মোবাইল। তাদের মোট গ্রাহক ১ বিলিয়নেরও বেশি। এমনটাই জানিয়েছে মর্নিংস্টার। তবে কোম্পানির বাজার শেয়ার ক্রমশ পড়ছে। ২০১২ সালে চায়না মোবাইলের বাজার শেয়ার ছিল ৭১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা ৬১ শতাংশে নেমে এসেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী মোবাইল অপারেটর সংস্থাগুলি খুব দ্রুত বাজার দখল করছে। পরিষেবা আয়ের একটা বড় অংশও এখন তাদের দখলেই। চায়না মোবাইলের একাধিপত্য এখন প্রশ্নের মুখে।