আপনার যাতে সেই হিসেব কষতে সুবিধা হয়, তার জন্য এক এক করে তথ্যগুলো দেওয়া যাক। সবার প্রথমে সেরে নেওয়া যাক Zoom-এর এই End-to-End Encryption নিয়ে প্রাথমিক তথ্যের দিকটা!
সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে অবশেষে আপনার হাতে এসেছে Zoom End-to-End Encryption-এর সুবিধা। কোভিড ১৯-এর সৌজন্যে ওয়র্ক ফ্রম হোম সংস্কৃতিতে যে হারে ভিডিও মিটিংয়ের উপরে নির্ভর করতে হয়, তাতে করে অনেকেই ব্যক্তিগত তথ্যরক্ষার নিরাপত্তার দিকটা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। কেন না, এত দিন পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্মে End-to-End Encryption ছিল না; এই সদ্য এল। প্রথমে তা শুধুই সাবস্ক্রাইবারদের জন্য বরাদ্দ থাকলেও তুমুল প্রতিবাদের মুখে ফ্রি ট্রায়ালেও এই সুবিধার সুযোগ দিয়েছে সংস্থা।
advertisement
সংস্থা জানিয়েছে যে 256-bit AES-GCM end-to-end encryption স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতির সাহায্যে এই সুবিধা ইউজারদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। একবার এই ফিচার এনেবল করা হয়ে গেলে এনক্রিপটেড কি ডিস্ট্রিবিউশনের জন্য Zoom যে পাবলিক কি ক্রিপ্টোগ্রাফি ব্যবহার করছে, তার মাধ্যমে একজন ইউজার অন্যকে সব তথ্য সুরক্ষিত রেখে মিটিং জয়েন করার অনুরোধ পাঠাতে পারবেন।
ভালো কথা। কিন্তু এই ফিচার এনেবল করার পরেই কিছু সমস্যার মুখেও পড়তে হবে ইউজারদের। জানা গিয়েছে যে এই ফিচার একবার এনেবল হয়ে গেলে Zoom-এর আরও বেশ কয়েকটি ফিচার আর ব্যবহার করা যাবে না। এগুলি হল- ক্লাউড মিটিং রেকর্ডিং, লাইভ স্ট্রিমিং, লাইভ ট্রান্সক্রিপশন, ব্রেকআউট রুম, লাইভ পোলিং, ওয়ান-টু-ওয়ান প্রাইভেট চ্যাট, মিটিং রিয়্যাকশন এবং হোস্টের আগেই মিটিং জয়েন করার সুবিধা!
খবর বলছে যে চলতি বছরে Zoom End-to-End Encryption-এর প্রথম পর্যায় ব্যবহার করছেন ইউজাররা। পরের বছর থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়। তবে এই যে এতগুলো ফিচার হারাতে হবে Zoom End-to-End Encryption-এর জেরে, সেটা একটা সমস্যা তো বটেই! তাই ৩০ দিন পর্যন্ত চলবে মতামত সংগ্রহের পালা। আপনি Zoom ব্যবহার করলে এই ফিচার নিয়ে নিজের মূল্যবান মতামতটি পেশ করতে পারেন সংস্থার কাছে। তার ভিত্তিতে পরিষেবা আরও ভালো করে তোলা হবে, এমনই দাবি করছে Zoom!