অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিজের কোনও না কোনও অ্যাকাউন্ট বর্তমানে সব মানুষেরই থাকে। আর এমনটা হলে প্রত্যেকেই ‘বট’ সম্পর্কে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। ‘বট’ হল এক ধরনের সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যা ইন্টারনেটে স্বয়ংক্রিয় কাজ চালাতে পারে। এর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে থাকে অসৎ উদ্দেশ্যে। এমনই এক ধরনে বট হল সেক্সবট। জেনে নেওয়া যাক এরা কী ভাবে কাজ করে, কোন ধরনের বিপদে ফেলতে পারে সাধারণ মানুষকে—
advertisement
এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলি স্ন্যাপচ্যাট, ট্যুইটার এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সমস্ত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত রয়েছে। এখানে মূলত ইনস্টাগ্রামের সেক্সবট সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
এই ধরনের অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে প্রায় সব সময়ই দেখা যায় অর্ধনগ্ন মহিলাদের ছবি দেওয়া রয়েছে। ইনস্টাগ্রামে এই অ্যাকাউন্টগুলি নতুন নয়। কিন্তু, সমস্যা হল এই ধরনের অ্যাকাউন্টকেই এখন হাইলাইট করা হয়। এই ধরনের সেক্সবট পাবলিক অ্যাকাউন্টের উপর নজর রাখত। তবে লাইকের কারণে তারা এখন বেশি আলোচিত হচ্ছে।
কিছু দিন আগেই ‘লাইক’ ফিচার এসেছে ইনস্টাগ্রামে। যে কোনও স্টোরি পছন্দ হলে এখন তা ‘লাইক’ করা যায়। স্টোরি পছন্দ হলে স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবহারকারীদের নজর চলে যায় অ্যাকাউন্টের দিকে। কিন্তু সমস্যা অন্যত্র। আগে বট অ্যাকাউন্টগুলিতে কনটেন্ট দেখার জন্য যেত। এখন ওই সব বট অ্যাকাউন্ট যে কোনও পোস্টে লাইক দিতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
ব্যবহারকারীরা মনে করতে পারেন, আর কেউ না হোক তাঁর পোস্টে অন্তত কিছু লাইক তো পাওয়া যাবে বট-এর দৌলতে। কিন্তু এর থেকে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। কারণ, এই বায়োতে অনেক ফিশিং লিঙ্ক থাকতে পারে। অশ্লীল বিষয়বস্তু দেখিয়েই ফাঁদে ফেলে এঁরা। ব্যবহারকারী সে সব বিষয়বস্তু দেখতে গেলেই ফিশিং লিঙ্কের শিকার হতে পারেন।
এক্ষেত্রে ফোন হ্যাক হতে পারে। ব্যাঙ্কের বিশদ বিবরণ চুরি হতে পারে। ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হতে পারে, এমনকী যে কোনও মানুষ সেক্সটর্শনের শিকারও হতে পারেন।
অনেক সময় এই ধরনের লিঙ্কে অশ্লীল বিষয়বস্তুর বিনিময়ে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যও চাওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী একজন ১৩ বছরের কিশোরও ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এই অ্যাকাউন্টগুলি বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীদের লক্ষ্য করে তাদের উপর নজর রাখতে পারে।
ইনস্টাগ্রামের অভিভাবক সংস্থা মেটা অবশ্য আগেই জানিয়েছে, তারা এই ধরনের বট কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। তবে ব্যক্তিগত স্তরে সতর্ক থাকার কোনও বিকল্প নেই।