ডিপ ফেক শব্দটির অর্থ হল এমন ছবি বা ভিডিও যাতে নিজেদের মুখ এবং শরীর দৃশ্যমান হবে, কিন্তু বাস্তবে সেটা সে নয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ ডিপ ফেকের মাধ্যমে কারও বাড়ির চেয়ারে বসে তোলা একটি ছবি এডিট করতে পারে এবং তাকে একটি ক্লাব, সিনেমা থিয়েটার বা খেলার মাঠে বা দূর দেশের কোথাও দেখাতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
এর মাধ্যমে তাকে শিশু, বৃদ্ধ বা অন্য যে কোনও লিঙ্গের রূপ বা পোশাকে দেখানো যেতে পারে। এগুলো এমন ছবি, যাকে কেউ এডিট বলতে পারবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে, আজ ইন্টারনেটে এমন অনেকগুলি ফটো এবং ভিডিও এডিটিং অ্যাপ রয়েছে, যেগুলি যে কারও ডিপ ফেক ছবি তৈরি করতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে ফেক ছবি তৈরি হয় -
যে কোনও ব্যক্তির একটি নকল ছবি তৈরি করতে, সেই ব্যক্তির ৫ বা তার বেশি ফটোগ্রাফ প্রয়োজন হয়। তারপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সেই ছবিগুলি অধ্যয়ন করে এবং সফটওয়্যার আকারে সংরক্ষণ করে। এর পরে, যে যতটা চায় তত বেশি ডিপ ফেক ছবি তৈরি করতে পারে। যেখানে ছবিতে সেই ব্যক্তি উপস্থিত থাকবে, তবে সময় এবং পরিস্থিতি তার কাছে সম্পূর্ণ অজানা থাকবে।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
এই ডিপ ফেক ছবি এড়াতে যা করা প্রয়োজন -
আপাতত, সেরা সমাধান হল নিজেদের সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া। এটি একটি নিরাপদ ধারণা হতে পারে, তবে রাজনীতিবিদ এবং সেলিব্রিটি সহ অনেক সাধারণ মানুষের পক্ষে এটি সম্ভব বলে মনে হয় না। এছাড়া কোনও বন্ধু যদি তাঁর পেজ থেকে ছবি শেয়ার করে থাকেন, তাহলে সেই ছবিও নিজে থেকে সরিয়ে ফেলা যাবে না।
ডিপ ফেক প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে, এটির থেকে মানুষকে বাঁচানোর কাজও চলছে। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা এমন একটি কৌশল তৈরি করতে কাজ করছেন, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে বিকৃত করা ছবিগুলিকে ওয়াটারমার্ক করতে পারে। যদিও এটি প্রস্তুত করতে সময় লাগবে। তাই নিজেদের ছবিগুলির ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
