এমন পরিস্থিতিতে গিজার ব্যবহারের পাশাপাশি প্রায় সকলেরই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যদি এই সতর্কতা অবলম্বন না করা হয় তবে গিজার সকলের জন্য মারাত্মক হতে পারে। কারণ একটি ভুল হলেই ফেটে যেতে পারে গিজার। এর ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এবং মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে আমাদের।
advertisement
আসলে, অনেক সময় আমরা আমাদের গিজার বন্ধ করতে ভুলে যাই। সেক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ গিজার চালু থাকলে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এই কারণে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে, এই জাতীয় যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গিজার ব্যবহার করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
গিজার চালু করা এবং গিজার বন্ধ করার সময় মনে করে মাথায় রাখতে হবে, যাতে গিজার বন্ধ করতে ভুল না হয়। বর্তমানে গিজারগুলিতে স্বয়ংক্রিয় সুইচ পাওয়া যায়, যাতে সেগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। তবে আজও কিছু লোক পুরনো দিনের গিজার ব্যবহার করেন। এমন অবস্থায় মাথায় রাখতে হবে যে দরকার মিটে গেলেই গিজার বন্ধ করে দিতে হবে।
গিজার ফিটিং -
একটি গিজার কিনে নিজেই সেটি কখনও ফিট করা উচিত নয়। যদি কেউ সেই কাজ করে থানকে, তাহলে গিজারের কিছু তার এখানে-ওখানে বেরিয়ে যেতে পারে। এমন হয়ে থাকলে এই ভুলটির অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে। গিজার ফেটে যেতে পারে, শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনা তো রয়েছেই। এছাড়া গিজার কেনার সময় অবশ্যই আইএসআই চিহ্ন দেখে তা ক্রয় করা উচিত।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
বাথরুমে এক্সজস্ট ফ্যান ইনস্টল করতে হবে -
গিজারে বিউটেন এবং প্রোপেন নামের গ্যাস রয়েছে যা কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। সেজন্য বাথরুমে গিজার বসানোর সময় অবশ্যই একটি এক্সজস্ট ফ্যান লাগাতে হবে, যাতে গিজার থেকে বের হওয়া গ্যাস বাথরুমে জমে না যায়। এই গ্যাসগুলি মানুষের শরীরের জন্য ভাল নয় এবং তা ক্ষতি করতে পারে।
শিশুদের নাগালের বাইরে রাখা প্রয়োজন -
সবসময় এমন জায়গায় গিজার লাগাতে হবে, যা শিশুদের নাগালের বাইরে এবং শিশুরা যাতে তা স্পর্শ করতে না পারে সেই খেয়াল রাখতে হবে। আসলে, অনেক সময় গিজার শকও দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এটি শিশুদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।