অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যা এসি বা ফ্রিজ ভাড়া দেয়। তারা সর্বনিম্ন ভাড়ায় পণ্য সরবরাহ করার দাবি করে। কিন্তু বছরের শেষে দেখা যায় ভাড়া অনেক বেশি পড়ে গেল।
এই সমস্ত ওয়েবসাইটে এসি থেকে ফ্রিজ, ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে সোফা, খাট, আলমারি, টিভি সবকিছুই ভাড়ায় পাওয়া যায়। কিন্তু কিছু জিনিস এক্ষেত্রে মাথায় রাখা প্রয়োজন—
advertisement
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
ভাড়া নেওয়ার সুবিধা:
১. একসঙ্গে অনেক টাকা দিয়ে কোনও পণ্য কিনে ফেলা বেশি খরচ মনে হলে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভাড়া নেওয়া যেতে পারে। তাতে ইএমআই দিতে হয় না, তবে ভাড়া দিতে হয়।
২. ওই পণ্যের প্রতি নিজের কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না। ভাল না লাগলে তা ফিরিয়ে দেওয়া যেতে পারে নির্দিষ্ট সময় পর।
৩. বাড়ি বদলানোর প্রয়োজন হলে বাড়ির সমস্ত আসবাব আবার গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন থাকে না। চাইলে আবার নতুন আসবাব বা বৈদ্যুতীন সরঞ্জাম ভাড়া নেওয়া যায়।
অসুবিধা:
আসলে একটু হিসেব করে দেখলেই বোঝা যাবে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ভাড়া নেওয়া আদৌ সাশ্রয়ী নয়।
ধরা যাক এসি মেশিন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কমবেশি হাজার দুয়েক টাকা মাসিক ভাড়া দিয়ে এসি মেশিন পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে গরমের ছ’সাত মাসের জন্য তা ভাড়া নিয়ে ১২-১৪ হাজার টাকা ভাড়া গুণতে হবে। সেখানে কোনও ভাল কোম্পানির এসি মেশিন কিনতে গেলে খরচ হবে ৩০-৩২ হাজার টাকা। ফলে কেউ চাইলে এসি ভাড়া নিতেই পারেন।
আরও পড়ুন - দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ৯৯% মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না
কিন্তু কেউ যদি খাট বা আলমারি ভাড়া করতে চান, এমনকী ফ্রিজ বা ওয়াটার পিউরিফায়ারও, সেক্ষেত্রে ভাড়া আর মাসিক ইএমআই-এর মধ্যে খুব ফারাক হবে না। বরং পণ্যটির মালিকানা পাওয়া যাবে।
এই ধরনের ওয়েবসাইটে অনেক সময়ই দেখা যায় কোনও আসবাবের মাসিক ভাড়া কম হলেও সেখানে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া নেওয়ার বাধ্য বাধকতা থাকে। তাতে খরচ বাড়ে।
