এ ক্ষেত্রে ডেলিভারি এজেন্টের ছদ্মবেশে একেবারে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছে জালিয়াতরা। কোনও না কোনও পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠিয়ে বসে তারা। গ্রাহক অবাক হলেও পণ্য গ্রহণ করার জন্য সেই ওটিপি দিয়ে দিলেই বিপদ। তবে শুধু এটুকুই নয়, কেউ ওই প্যাকেজ নিতে অস্বীকার করলেও জালিয়াতরা প্যাকেজটি ‘বাতিল’ করার জন্য একটি ওটিপি লাগবে বল, জালিয়াতি করতে পারে।
advertisement
এক বার ওটিপি দিয়ে ফেললেই বিপদ। কোনও ই-কমার্স সংস্থার টেক্সট হিসাবে ভুয়ো ওটিপি আসতে পারে। ওই ওটিপি আসলে জালিয়াতের হাতে তুলে দেবে গ্রাহকের ব্যাঙ্কিং বিশদ।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
এই ধরনের জালিয়াতি প্রতিরোধ করার কিছু উপায় -
- যে কোনও ডেলিভারি এজেন্ট বা ই-কমার্স কোম্পানির প্রতিনিধি ওটিপি চাইলে সতর্ক থাকতে হবে।
- ওটিপি বা অন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য যে কোনও অনুরোধের বৈধতা যাচাই করা প্রয়োজন। ই-কমার্স কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে বা তারা কী ভাবে ডেলিভারি এবং পেমেন্ট পরিচালনা করে সেই সম্পর্কে তথ্যের জন্য তাদের ওয়েবসাইট চেক করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
- যে কোনও ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করা উচিত নয়।
- সন্দেহজনক ডেলিভারি এলে কোনও ভাবেই তা গ্রহণ করা উচিত নয়। এজেন্টের থেকে নিরাপদ দূরত্ব রাখতে হবে।
- নিজেকে এবং নিজেদের প্রিয়জনকে স্ক্যাম সম্পর্কে এবং কী ভাবে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
- প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন জালিয়াতি কৌশল রপ্ত করছে দুষ্কৃতীরা। সে সব কৌশল সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতনতা থাকা প্রয়োজন।
- ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহার করার সময় অবশ্য সুরক্ষিত উপায় ব্যবহার করতে হবে।