এই যেমন গ্রীষ্ম শুরুর আগেই হইহই পড়ে যায় বৈদ্যুতিন পাখা, এসি কেনার বা তা ঝাড় পোঁছ করার, তেমনই শীত শুরু হওয়ার আগেই মানুষ ঠান্ডার হাত থেকে খানিকটা রেহাই পেতে চেষ্টা করেন। আর শীতের অন্যতম প্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন যন্ত্র হল ওয়াটার হিটার এবং গিজার।
কিন্তু ঠিক কেমন হওয়া উচিত, কোন কোন বিষয় দেখে নেওয়া উচিত কেনার আগে, তা নিয়ে যথেষ্ট বিভ্রান্তি থাকে মানুষের মধ্যে। ফলে যাঁরা গিজার বা ওয়াটার হিটার কেনার কথা ভাবছেন তাঁরা পাঁচটি টিপস মেনে চলতে পারেন। তাতে শুধু অর্থ সাশ্রয় হবে তাই নয়, সঠিক যন্ত্রটিও পাওয়া যেতে পারে—
advertisement
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
গিজারের ধরন—
বর্তমানে দুই ধরনের গিজার পাওয়া যায়— ইলেকট্রিক গিজার ও গ্যাস গিজার। বৈদ্যুতিক গিজারের তুলনায় গ্যাস গিজার সাশ্রয়ী। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। তবে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেখতে গেলে বৈদ্যুতিন গিজার উন্নত। এতে অনেক অপশনও থাকে।
বাজেট অনুযায়ী বাছাই—
যে কোনও কিছু কেনার আগে বাজেট মাথায় রাখা খুবই জরুরি বিষয়। বাজেটের বাইরে গিয়ে কোনও কিছু কিনে ফেললে পরবর্তীকালে সঙ্কট দেখা দিতে পারে। বাজেট কম থাকলে শুধু ইলেকট্রিক গিজার কেনা যেতে পারে। গ্যাস গিজারের দাম একটু বেশি। এতে অপশনও কম থাকে।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
সঠিক ব্র্যান্ড—
স্থানীয় সংস্থার গিজার ওয়াটার হিটার কিনলে কয়েক হাজার টাকা সাশ্রয় করা যেতে পারে। কিন্তু এই ধরনের গিজার ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ এত বেশি হয় যে সেখানে হাজার হাজার টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। শুধু সঠিক ব্র্যান্ড নির্বাচন কর খুব জরুরি। সে জন্য অনলাইন পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে। তা ছাড়া, গিজার ওয়াটার হিটারের উপরে অঙ্কিত রেটিং দেখে নিতে হবে।
নিজের প্রয়োজন—
প্রথমেই নিজের প্রয়োজন বুঝে নিতে হবে। আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ স্নানের জন্য গিজার কিনে থাকেন। কিন্তু অনেকেই রান্নাঘর এবং অফিসেও ব্যবহার করেন। সে ক্ষেত্রে রঙ এবং নকশার পাশাপাশি আকারের দিকেও মনোযোগ দেওয়া দরকার।
বাড়ির সদস্যদের কথা মাথায় রাখা দরকার—
গিজার কিনে ফেলার আগে বাড়ির সদস্যদের সংখ্যা গণনা করে নিতে হবে। দু’জনের পরিবার হলে ৫ লিটারের গিজার দিয়ে কাজ হতে পারে। কিন্তু পরিবারে যদি ৫ বা তার বেশি সদস্য থাকেন, তা হলে অবশ্যই ২০-২৫ লিটারের গিজার নেওয়া উচিত।