তাই সকলেই ড্রাই ক্লিনিং করার কথা ভাবেন। কিন্তু কেউ যদি এতটা খরচ না করতে চান, তাহলেও সেটা সম্ভব। প্রায় বিনা পরিশ্রমেই একেবারে ঝকঝকে হয়ে যেতে পারে পুরনো কম্বল।
আরও পড়ুন: PPF, Post Office FDs, NSC: এখানে বিনিয়োগ করা কি ঠিক ? টাকা রাখার আগে অবশ্যই জেনে নিন
এখনও কম্বল গায়ে দেওয়ার মতো শীত পড়েনি, বিশেষত শহর কলকাতায়। তবে সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা হাওয়া বইছে। এই সময়ই তুলে রাখা কম্বল ঝাড়পোছ করে রোদে দেওয়া দরকার। আর সেটাই সব থেকে জরুরি কাজ। আমাদের দেশে বছরের প্রায় ১০-১১ মাসই কম্বল তোলা থাকে। ফলে ধুলো তো পড়েই। শীতের মাত্র একটি মাস তার ব্যবহার। আর কম্বল ব্যবহার করার আগে সেটি সূর্যের আলোয় ভাল করে মেলে দেওয়া দরকার।
advertisement
অনেক সময়ই দেখা যায় ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার কম্বল, অথচ তা কাচাতেই খরচ হয়ে যায় শ’পাঁচেক টাকা। ফলে মনে হতেই পারে, এর থেকে নতুন কম্বল কিনে নেওয়া ভাল।
অনেকেই দ্বন্দ্বে ভোগেন, কম্বল কি বাড়ির ওয়াশিং মেশিনে কেচে নেওয়া যায়! সেক্ষেত্রে আগেই দেখে নিতে হবে, ওই ওয়াশিং মেশিনে কম্বল কাচা যায় কিনা। সেটা উল্লেখ করাই থাকবে।
আরও পড়ুন: ৩০ নভেম্বরের পরেও জমা দেওয়া যাবে Life Certificate ? জেনে নিন
যদি কোনও ওয়াশিং মেশিনের নির্দেশাবলীতে লেখা থাকে, যে সেটি কম্বল কাচার উপযুক্ত তবে অনায়াসে কাজটি সেরে ফেলা যায়। তবে সচেতন হতে হবে। ধরা যাক কারও বাড়ির ওয়াশিং মেশিন ৭ কেজি ক্ষমতা সম্পন্ন। সেক্ষেত্রে তাঁকে দেখে নিতে হবে কম্বলের ওজনও যেন সর্বাধিক ৭ কেজিই হয়।
সব শর্ত পূরণ হলে কম্বল ওয়াশিং মেশিনে রেখে ‘জেন্টল’ প্রোগ্রামে সেট করে নিতে হবে। অনেক ওয়াশিং মেশিনে ‘ডেলিকেটস’ নামেও প্রোগ্রামিং থাকতে পারে।
ওয়াশিং মেশিনে কম্বল কাচলে মনে রাখতে হবে, এটি শুকোনোর আগে একটু উল্টে পাল্টে দেওয়া দরকার, নাহলে একজায়গায় জল জমে থাকতে পারে।
ওয়াশিং মেশিনে কাচার সময় ভুলেও গরম জল ব্যবহার করা যাবে না। এতে কম্বলের পশম নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ওয়াশিং মেশিনে কম্বল ধোয়ার সময় কখনই ওয়াশিং মেশিনে ব্লিচ, ভিনেগার বা কোনও পণ্য রাখা যাবে না।
এক একটি কম্বল এক এক রকমের হতে পারে। সেক্ষেত্রে কাচার আগে ভাল ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হতে হবে।