জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চবটী এক্সপ্রেসে। এই ট্রেন প্রত্যহ মুম্বই থেকে মনমাড় পর্যন্ত যাতায়াত করে। মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস থেকে মনমাড় জংশন পর্যন্ত এই যাত্রাপথ অতিক্রম করতে ট্রেনটির সময় লাগে মোটামুটি ৪ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। বুঝে নিতে অসুবিধা নেই যে তা অনেক নিত্যযাত্রীরও সহায়। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই ট্রেনে এবার এটিএম মেশিন বসানো হল।
advertisement
এই প্রসঙ্গে এই এটিএমটি কীভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, তা জেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কেন না, দেশের অনেক জায়গার অনেক এটিএম যে দুষ্কৃতীদের শিকার হয়, তার খবর মাঝে মাঝেই সংবাদমাধ্যমের সিরোনামে উঠে আসে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এই এটিএমটি একটি শক্তিশালী শাটার ডোর দিয়ে সংযুক্ত বলে জানা গিয়েছে।
এই এটিএম এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে এটি চলন্ত ট্রেনেও ভালভাবে কাজ করতে পারে। এই এটিএমের মাধ্যমে বলাই বাহুল্য যাত্রীদের আর প্রয়োজনে নগদ টাকার জোগান নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। যে কেউ যখন ইচ্ছা ট্রেন থেকে টাকা তুলতে পারবেন, অন্যান্য আর্থিক কাজেও এই এটিএম ব্যবহার করতে পারবেন।
জানা গিয়েছে যে এই এটিএম বিশেষভাবে মনমাড় রেলওয়ে ওয়ার্কশপে ডিজাইন করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক সহায়তা থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত কাঠামোগত বিষয়গুলোর বিশেষ খেয়াল রাখা হয়েছে যাতে মেশিনটি দ্রুতগতির ট্রেনেও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন- সৌদি থেকে ফেরার সময়ই নরেন্দ্র মোদির বিমান নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! ‘বার্তা’ পেয়েই গেল পড়শি দেশ
সঙ্গত কারণেই যাত্রীদের মতো ভারতীয় রেলও এই সাফল্য উদযাপন করছে পরিপূর্ণ রূপে। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ভারতীয় রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. স্বপ্নিল নীলা জানান যে ট্রেনটি সফল ভাবে মুম্বই পৌঁছেছে একটি এটিএম কোচ সংযুক্ত করে। এটি একটি অনন্য উদ্যোগ এবং তাঁরা আশা রাখেন যে এই সুবিধা যাত্রীদের জন্য খুবই কার্যকর প্রমাণিত হবে।
পঞ্চবটী এক্সপ্রেসের ১২১০৯ নম্বর ট্রেনের এসি চেয়ার কার-এ এই এটিএম বসেছে ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্রের সহায়তায়। এই যে শুরু, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আশা করাই যায় যে আগামী দিনে সারা দেশে এই পরিষেবা ছড়িয়ে পড়বে।