হোয়াটসঅ্যাপের সুরক্ষা বলয় ভাঙতে ব্যবহার করা হয়েছিল এই অ্যাপের ‘ভয়েস কলিং’ ফিচার। কোনও একটি নির্দিষ্ট মোবাইল সেটে ‘ভয়েস কল’ করে এই সফটওয়্যার ‘ইনস্টল’ করে দিচ্ছিল হ্যাকাররা। কল না ধরলেও ‘ইনস্টল’ হয়ে যাচ্ছিল এই নজরদারি সফটওয়্যার। এমনকি, তা উধাও হয়ে যেত মোবাইলের ‘কল লিস্ট’ থেকেও। এর পরই ওই নির্দিষ্ট মোবাইল থেকে সমস্ত তথ্য পাচার শুরু করে দিত সফটওয়্যারটি। এই মাসের শুরুতে বিষয়টি জানার পরই তৎপর হয়ে ওঠে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। জানানো হয় মার্কিন আইন মন্ত্রক এবং কয়েকটি মানবাধিকার সংস্থাকে। একই সঙ্গে এই ‘নজরদারি সফটওয়্যার’-এর হামলা থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়াও শুরু করে । শেষ পর্যন্ত গতকাল তারা ইউজারদের অ্যাপটি ‘আপডেট’ করার অনুরোধ জানিয়েছে।
advertisement
হোয়াটসঅ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘আমাদের মনে হয়, এই হামলার পিছনে রয়েছে কোনও বেসরকারি সংস্থা, যাদের বিভিন্ন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।’’ যদিও পৃথিবীর কোন অঞ্চলের কতজন ইউজারের কী তথ্য চুরি করা হয়েছে, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
পুরো ঘটনার নেপথ্যে থাকা ইজরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা ‘এনএসও গ্রুপ’ (যাদের এক সময় সারা দুনিয়া চিনত ‘সাইবার অস্ত্রের ডিলার’ হিসেবে) বানিয়েছিল কুখ্যাত ‘পেগাসাস’ সফটওয়্যার, যা যে কোনও মোবাইল ফোন থেকে মাইক্রোফোন, ক্যামেরা, লোকেশনের তথ্য চুরি করে নিতে পারত। এর আগে অ্যাপলের দুর্ভেদ্য সুরক্ষা বলয়ও ভেঙে ফেলেছিল ইজরায়েলি সাইবার হ্যাকারদের এই গোপন সংস্থা।