আজ আমরা এমন কিছু টিপস জানাব যা শুধু ভাল ডিভাইস কিনতেই সাহায্য করবে না, বরং অন্যান্য আর্থিক ক্ষতি থেকেও রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
গ্রাহকরা যখন ব্যবহৃত কোনও ফোন কিনছেন তখন খুব কম দামেই তাঁদের প্রিয় মোবাইল মডেল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন হলে আমরা অনেক সময়ই বাইরে থেকে ফোনটি দেখেই তা কিনে ফেলি, কিন্তু অপারেট করে চেক করে দেখি না, এতে কিন্তু পরবর্তীতে অনেক ক্ষতি হতে পারে।
advertisement
তাই গ্রাহকরা যখনই ব্যবহৃত ফোন কিনবেন, সেই ফোনটিকে অন্তত ১৫ মিনিট একটানা চালিয়ে রাখা উচিত, এর মাধ্যমে গ্রাহকরা ফোনের প্রসেসিং পাওয়ার, ফ্রেম রেট, টাচ স্ক্রিন, হ্যাঙ্গিং সমস্যা এবং ব্যাটারি হিটিং ও ক্যামেরা পারফরম্যান্স সহ আরও নানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
যাঁরা কোনও ব্যবহৃত ফোন কিনতে যাচ্ছেন, তাঁদের ফোন বিক্রেতার সঙ্গে সামনাসামনি দেখা করা উচিত। আসলে অনেক সময়ই ফোন বিক্রেতারা নানা দাবি করে ফোন বিক্রি করে দেন, পরে ফোন ব্যবহারের সময় কোনও সমস্যা হলে গ্রাহকরা আর প্রতিকারের জন্য বিক্রয়কারীকে খুঁজে পান না। এমন পরিস্থিতিতে ব্যক্তিগত পরিচয় তৈরির মাধ্যমে ফোন বিক্রেতার দাবি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা যেতে পারে।
সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সময় ফোনে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কি না এবং স্ক্রিনে কোনও স্ক্র্যাচ আছে কি না তা পরীক্ষা করা উচিত। অন্য দিকে তেমনই পোর্ট, মাইক, স্পিকার এবং ক্যামেরার লেন্সের মতো জিনিসগুলিও মনোযোগ দিয়ে দেখা উচিত। সব ঠিক বলে প্রমাণিত হলে তবেই সেই ফোন কেনা উচিত।
সেকেন্ড হ্যান্ড স্মার্টফোন কেনার সময়, তার চালান, বিল এবং ফোনের রিটেইল বক্স নিতে ভোলা উচিত নয়। যদি ফোনের বিক্রেতা দাবি করেন যে বিল বা বাক্সটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে বা হারিয়ে গিয়েছে তাহলে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রমাণ হিসেবে নিয়ে রাখতে হবে। আর যাঁরা বিল দেবেন তাঁদের বিলে উপস্থিত আইএমইআই নম্বর এবং ফোনের আইএমইআই নম্বর পরীক্ষা করে দেখা উচিত। গ্রাহকরা এক্ষেত্রে ফোনের আইএমইআই জানতে ফোন থেকে *#06# ডায়াল করতে পারেন।