কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই জানেন না বেশ কিছু ‘সিক্রেট কোড’-এর কথা। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ‘সিক্রেট কোড’ ব্যবহার করে হিডেন সেটিং অপশন এবং তথ্য আনলক করা যেতে পারে। যখন ফোন মেরামত করানোর প্রয়োজন হয় এবং ফোনের স্পেসিফিকেশন জানতে হয় তখন এই তথ্যগুলি খুব কাজে লাগে। সব থেকে বড় কথা, এসব তথ্য হাতে থাকলে মেরামতির সময় ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।
advertisement
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
ধরা যাক, যদি কারও স্মার্টফোনের ক্যামেরা কাজ করা বন্ধ করে দিল। মেরামত করাতে গিয়ে জানলেন তাঁকে ক্যামেরা বদলাতে হবে এবং একটি বিশেষ কোম্পানির ক্যামেরা লাগাতে হবে। অথচ, হয়তো ওই স্মার্টফোনে ওই বিশেষ ক্যামেরার প্রয়োজনই নেই।
সিক্রেট কোড ব্যবহার করে এই তথ্য পেয়ে যাওয়া সম্ভব।
অ্যান্ড্রয়েডে দুই ধরনের সিক্রেট কোড থাকে:
এই দুই ধরনের সিক্রেট কোড হল আনস্ট্রাকচার্ড সাপ্লিমেন্টারি সার্ভিস ডেটা (USSD) এবং মেন মেশিন ইন্টারফেস (MMI)।
USSD হল নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার সম্পর্কে তথ্য দেয়। অন্যদিকে, MMI মডেল এবং ব্র্যান্ড নির্দিষ্ট কোড। এই ক্ষেত্রে, USSD সিম কার্ড, ব্যালান্স এবং পরিষেবা সম্পর্কে তথ্য দেয় এবং MMI স্মার্টফোনের সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার সম্পর্কিত তথ্য দেয়।
অ্যান্ড্রয়েডের সিক্রেট কোডগুলি সর্বজনীন এবং প্রায় সমস্ত ডিভাইসে কাজ করে। তবে কিছু ডিভাইসের এগুলি কাজ নাও করতে পারে। অর্থাৎ, সেক্ষেত্রে ওই কোড ব্যবহার করে হিডন সেটিংস খুঁজে নাও পাওয়া যেতে পারে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সিক্রেট কোডের তালিকা—
*#0*# | ইনফো মেনু |
*#*#4636#*#* | ইনফো মেনু |
*#*#34971539#*#* | ক্যামেরা ইনফরমেশন |
*#06# | আইএমইআইই নম্বর |
*#*#1111#*#* | FTA সফ্টওয়্যার ভার্সন |
*#*#2222#*#* | হার্ডওয়্যার ভার্সন |
*#*#232337#*# | ব্লুটুথ অ্যাড্রেস |
এই তথ্যগুলি হাতে থাকার অর্থই হল নিজের প্রিয় ফোনটিকে আরও ভাল ভাবে চেনা।