কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে যে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে বলা হয়েছে যে, সংক্রমণের সম্ভাব্য বিপদ দ্রুত চিহ্নিতকরণের কাজ করে আরোগ্য সেতু অ্যাপ এবং এভাবে কোনও ব্যক্তি এবং সমাজের বর্ম হিসেবে কাজ করে। নতুন গাইডলাইনে বলে হয়েছে যে কোম্পানিদের সর্বোত্তম চেষ্টা করা উচিত যে সব কর্মীদের উপযুক্ত মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু ডাউনলোড নিশ্চিত করা। কারণ ১ মে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল তাতে বলে হয়েছিল যে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসের কর্মীদের আরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করা বাধ্যতামূলক। এবার তা কোম্পানির ‘সর্বোত্তম চেষ্টা’-য় পরিণত হয়েছে। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে নিজের ইচ্ছা মতো অরোগ্য সেতু অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন কর্মীরা।
advertisement
গতকাল যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে বলে হয়েছে যে জেলা প্রশাসন যে কাউকে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করার পরামর্শ দিতে পারে। এই অ্যাপটির মাধ্যমে, একজন নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
এই অ্যাপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কতটা আশঙ্কা রয়েছে। তার জন্য মাপকাঠি হিসাবে ধরা হচ্ছে ব্যবহারকারীর সঙ্গে তাঁর আশেপাশের লোকেদের যোগাযোগের পরিমাণ। ব্লুটুথে কাটিং এজ পদ্ধতি, অ্যালগরিদম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এটি তৈরি করা হয়েছে।
ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনের ব্লুটুথ/জিপিএস (Bluetooth/ GPS) এর রেঞ্জে অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে অ্যাপও এক লহমায় ডিটেক্ট করে নিতে পারে আরোগ্য সেতু। আপনার পরিচিত কেউ বা আপনার সঙ্গে খুব সম্প্রতিই যোগাযোগ হয়েছে এমন কেউ COVID-19 এ আক্রান্ত হলে এই অ্যাপ আপনাকে সজাগ করে দেবে। পাশাপাশিই আপনার এলাকায় কারও যদি করোনার উপস্থিতি দেখা যায়, তাহলে সে খবরও আপনাকে দিয়ে দিতে সক্ষম এই আরোগ্য সেতু।