৮ জুলাই সরকার ৫৯টি চিনা কোম্পানিকে নোটিশ পাঠিয়েছিল। আর এই সম্পর্কে, ৩ সপ্তাহের মধ্যে সংস্থাগুলির কাছ থেকে উত্তর চেয়েছিল। সরকার কোম্পানিগুলিকে ৭০-এর বেশি প্রশ্ন করেছিল, যেগুলির উত্তর তাঁদের ২৮ জুলাই-এর মধ্যে দিতে বলা হয়েছিল। সরকার তাঁদের সার্ভার, ডেটা শেয়ারিং পলিসি নিয়ে প্রশ্ন করেছিল। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলি ডেটা প্রসেসিং আর স্টোরেজ কীভাবে করে তা নিয়েও প্রশ্ন করেছিল।
advertisement
MeiTY সাইবার আইন বিভাগের গ্রুপ কো-অর্ডিনেটরের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি এক থেকে ২ সপ্তাহের মধ্যে চিনা কোম্পানিগুলির দেওয়া উত্তরের সমীক্ষা করে দেখবে। যদি এই চিনা টেক কোম্পানিগুলি চিন ছাড়া অন্য কোনও দেশে সার্ভার স্থাপন করে, তবেই তারা স্বস্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার যদি তাদের উত্তর এবং যুক্তিতে সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সেই অ্যাপগুলিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করে দিতে পারে।
সোমবার আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল সরকার। এই ৪৭টি চিনা অ্যাপের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা যাচাই করার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেলিকম মন্ত্রক। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, আগে নিষিদ্ধ হওয়া ৫৯টি অ্যাপের ক্লোন হিসাবে কাজ করছিল এই ৪৭টি অ্যাপ। নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপগুলির তালিকা এখনও জানা যায় নি।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনার শহিদ হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত আবহে গত ২৯ জুন টিকটক UC Browser, CamScanner-সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে ছিল ভারত সরকার। কিছুদিন আগেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে জানানো হয়ে ছিল যে, যদি সরাসরি অথবা অন্য কোনও ভাবে এই ধরনের কোনও অ্যাপ ভারতে চালানো সম্ভব হয়, তাহলে সেই অ্যাপের বিরুদ্ধে টেকনোলজি আইন এবং অন্যান্য আইনে মামলা রুজু করা হবে। সেই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ভারত সরকার।