এক্ষেত্রে নতুন নিয়ম শুধু ব্যক্তিগত গাড়ির মতো ছোট যানবাহনের ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য হবে, তা নয়। বরং ট্রাক ও বাসের মতো বড় ও বাণিজ্যিক যানবাহনের ক্ষেত্রেও লাগু হবে একই নীতি।
সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আট বছরের বেশি পুরনো যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট ২ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। আবার ৮ বছরের চেয়ে বেশি পুরনো যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট শুধুমাত্র ১ বছরের জন্য বৈধ থাকবে।
advertisement
আরও পড়ুন- বাইকের মাইলেজ কমে যাচ্ছে? সমস্যা ধরতে পারছেন না? এই চারটি ব্যাপার খেয়াল করুন
এই সব যানবাহনের ফিটনেস প্রতি বছর আপডেট করা হবে। প্রতি বছরই নতুন করে তৈরি করাতে হবে সার্টিফিকেট। বাণিজ্যিক হালকা মোটর যান (LMVs) ছাড়াও এই নিয়মটি বড় এবং মাঝারি আকারের পণ্যবাহী এবং যাত্রীবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
সরকার সব যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়মিত সময় অন্তর তৈরি করাতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
ফিটনেস পরীক্ষা কোথায় করা হবে?
মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের সমস্ত যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা শুধুমাত্র অনুমোদিত অটোমেটেড টেস্টিং স্টেশন (ATS) থেকেই করানো যাবে। এই বিষয় সংক্রান্ত আইনে মানদণ্ড ইতিমধ্যেই নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন নিয়মটি কার্যকর হওয়ার পরে, গাড়িটি যে এলাকায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে, সেই এলাকার টেস্টিং স্টেশন থেকেই তৈরি করিয়ে নিতে হবে ফিটনেস সার্টিফিকেট।
এর আগে ভারত সরকার এই ধরনের গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট তৈরি করানোর জন্য সময় নির্ধারণ করেছিল ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত। কিন্তু নতুন সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল (পঞ্চম সংশোধনী) আইন, ২০২৩-এ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
এখানে বলা হয়েছে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন পুনর্নবীকরণ করার সময়ই গাড়ির জন্য তৈরি ফিটনেস শংসাপত্র নিতে হবে। এটা বাধ্যতা মূলক।
কিন্তু এবার প্রশ্ন হল, কী এই ফিটনেস সার্টিফিকেট?
ফিটনেস সার্টিফিকেট (FC) এমন একটি নথি যা প্রমাণ করে ওই যানবাহন রাস্তায় চলার জন্য আদৌ যোগ্য কিনা, ওই যানটি সমস্ত উপযুক্ত মান পূরণ করতে পারছে কিনা।
একটি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয় একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। তার বৈধতা শেষ হওয়ার আগে এই শংসাপত্রটি পুনর্নবীকরণ করা বাধ্যতামূলক।