১১ ডিসেম্বর থেকে মাত্র ২৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে আপনি এটি বুক করতে পারবেন। নতুন সেল্টোসে অনেক ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইন। আরও শক্তিশালী ইঞ্জিন, বড় টাচস্ক্রিন, লেভেল-২ ADAS, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা এবং প্রিমিয়াম ইন্টেরিয়রও এতে রয়েছে।
এখন এটি টাটা সিয়েরা, হুন্ডাই ক্রেটা, মারুতি গ্র্যান্ড ভিটারা, টয়োটা হাইরাইডার, হোন্ডা এলিভেট, ভিক্টোরিস-এর মতো গাড়িগুলোর সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতা করবে। একদিকে টাটা সিয়েরা-তে হাইট-অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট, ড্রাইভ মোড, ক্রুজ কন্ট্রোল, ৩৬০-ডিগ্রি ক্যামেরা, রিয়ার AC ভেন্টস, পার্কিং সেন্সর এবং আরও অনেক আধুনিক ফিচার দেওয়া হয়েছে, আর অন্যদিকে Kia Seltos 2026-এর ফিচারগুলো এগুলোকে পেছনে ফেলে দিতে পারে।
advertisement
Kia Seltos-এর বিশেষ ফিচার কী কী?
Kia Seltos 2026-এর লুক পুরোপুরি বদলে গেছে। সামনে রয়েছে ব্র্যান্ডের ফেমাস টাইগার-নোজ গ্রিল, তবে এবার এটি ভার্টিকাল LED লাইট-সহ পাওয়া যাবে। বাম্পার নতুন ডিজাইনের, গানমেটাল ফিনিশের স্কিড প্লেট লাগানো। পাশ থেকে দেখলে বডি প্যানেলগুলো খুবই স্মুথ, ডোর হ্যান্ডেল ফ্লাশ-টাইপ যা বডির সঙ্গে মিশে যায়।
ছাদ একটু ফ্ল্যাট ডিজাইনের, বড় প্যানোরামিক সানরুফ, শার্ক-ফিন অ্যান্টেনা এবং ইন্টিগ্রেটেড রিয়ার স্পয়লারও রয়েছে। ১৮-ইঞ্চির নতুন অ্যালয় হুইল এবং শোল্ডার লাইনও নতুন, উইন্ডো লাইনটিও পরিবর্তন করা হয়েছে।
পেছনের দিকের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল কনেক্টেড টেল লাইট, এটি গাড়িকে স্টাইলিশ লুক দিচ্ছে। টেলগেট এবং রিয়ার বাম্পারও নতুন ডিজাইনের, স্কিড প্লেট আবারও গানমেটাল ফিনিশে তৈরি। এতে ১০টি রঙের অপশন রয়েছে, যার মধ্যে দুটি সম্পূর্ণ নতুন রঙ। এগুলো হল মর্নিং হেজ (হালকা ধূসর) এবং ম্যাগমা রেড (গাঢ় লাল)। এই দুইটি রঙ গাড়িটিকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।
দেখে নিন ইউ টিউব লিঙ্ক- https://www.youtube.com/live/orFDNiKp0YQ?si=4Hw0lV6lhZlZbM9G
২০২৬-এর নতুন Kia Seltos এখন আগের চেয়ে অনেক বড় ডিজাইনের। কোম্পানি এটি তাদের K3 প্ল্যাটফর্মে তৈরি করেছে। দৈর্ঘ্য এখন ৪,৪৬০ মিমি, যা এই সেগমেন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রস্থ ১,৮৩০ মিমি এবং উচ্চতা ১,৬৩৫ মিমি। সবচেয়ে ভালো খবর, হুইলবেস ৮০ মিমি বাড়িয়ে ২,৬৯০ মিমি করা হয়েছে, অর্থাৎ পেছনে বসা যাত্রীদের অনেক বেশি লেগ রুম এবং আরাম পাবেন। সব মিলিয়ে গাড়িটি এখন আরও স্পেসিয়াস, রোডে শক্তিশালী দেখাবে এবং পরিবারের জন্য পারফেক্ট হয়ে গেছে।
অভ্যন্তরের কেবিন পুরোপুরি নতুন এবং লাক্সারি ডিজাইনের। ড্যাশবোর্ড সম্পূর্ণ নতুন ডিজাইনের, ডুয়াল টোন কালার এবং লেদারেট সিট দেওয়া হয়েছে। স্টিয়ারিং হুইল ফ্ল্যাট বটমের এবং Kia-র লোগো সামান্য পাশের দিকে রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বড় হাইলাইট হল, ৩০ ইঞ্চির বড় কার্ভড ডুয়াল স্ক্রিন, অর্থাৎ ড্রাইভার ডিসপ্লে এবং ইনফোটেইনমেন্ট একসাথে একই গ্লাসে সংযুক্ত।
এতে রয়েছে ডুয়াল জোন AC, সামনে সিটগুলো ভেন্টিলেটেড বা ঠাণ্ডা করার সুবিধা, ওয়্যারলেস চার্জার, ওয়্যারলেস অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে, হেডস-আপ ডিসপ্লে, ড্রাইভার সিট পাওয়ার সহ, সাইড মিররে মেমোরি ফাংশন, ৮-স্পিকার বোস সাউন্ড সিস্টেম, মুড লাইটিং, পেছনের সিট রিক্লাইনযোগ্য, স্মার্ট কী দিয়ে গাড়ি আনলক এবং আরও অনেক ছোট-বড় ফিচার।
আরও পড়ুন- কলেজ পড়ুয়াদের অভিনব নির্মাণ! ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক আবর্জনা দিয়ে তৈরি সেলফি জোন
গাড়িটির সেফটির জন্য রয়েছে ৬টি এয়ারব্যাগ, অ্যাল হুইল ডিস্ক ব্রেক, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক, লেভেল-২ ADAS (লেন কিপ অ্যাসিস্ট, অ্যাডাপ্টিভ ক্রুজ কন্ট্রোল, ন্যাভিগেশন সম্বলিত স্মার্ট ক্রুজ কন্ট্রোল) এবং স্নো-ম্যাড-স্যান্ডের মতো ট্র্যাকশন মোড।
