কোম্পানিটি একটি AI-চালিত মেমোরি কম্প্যানিয়ন তৈরি করেছে যা ইউজারকে ডেটা স্টোর করতে এবং একেবারে বেসিক ভয়েস প্রম্পট ব্যবহার করে সেগুলো সার্চ করতে দেয়। এই ফিচার অনেকটা গুগলের Pixel Screenshots এবং Windows Recall-এর মতো, যা যথাক্রমে ফোন এবং পিসি-তে কাজ করে। কিন্তু Jio AI ক্লাউড বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কাজ করার জন্য তৈরি।
advertisement
পরবর্তী প্রজন্মের জিও এআই ক্লাউড: এটি কী অফার করছে
পরবর্তী প্রজন্মের Jio AI ক্লাউড তৈরি করা হয়েছে ইউজারের প্রেক্ষাপট তথা প্রয়োজন বোঝার জন্য এবং ক্লাউডে ফাইল বা ভিডিও স্টোরেজ অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য। যেমন, ইউজারকে তাঁর পোষা প্রাণীর নির্দিষ্ট কোনও ছবি বা কোথাও ছুটি কাটানোর ছবি খুঁজে পেতে কেবল “হ্যালো জিও” বলতে হবে এবং Jio AI ক্লাউড লাইব্রেরি থেকে সঠিক ফাইলগুলো সার্চ করে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল দেখিয়ে দেবে।
শুধু তাই নয়, ক্লাউড স্টোরেজে ছবি আপলোড করার সময় Jio AI ক্লাউড ইউজারকে প্রতিদিনের ফাইল, বিল এবং রসিদগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে সাহায্য করতে পারে। যেমন, আধার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত নথি এটি আইডেনটিটি ফোল্ডারে স্টোর করে রাখবে।
AI এনহ্যান্সমেন্ট এখানেই শেষ নয়, Jio AI Cloud-এর এখন নিজস্ব AI Create Hub-ও আছে। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এখন ইউজারের কাছে ক্লাউডে সমস্ত ছবি এবং ভিডিও স্টোর করার পাশাপাশি সেগুলোর নতুন সংস্করণ তৈরি করার সুবিধাও রয়েছে। চাইলে ইউজার AI Create Hub ব্যবহার করে ছবিগুলোকে রিল, কোলাজ বা ভিডিওতে রূপান্তরিত করতে পারেন যা বন্ধুদের সঙ্গে অনায়াসে শেয়ার করা যেতে পারে। যাঁরা স্মল স্কেলে সৃজনশীল কিছু করতে চান তাঁদের জন্য, এমনকি সেই সব দোকানদারদের জন্যও এটি খুব সহায়ক হতে পারে যাঁরা তাঁদের পণ্য ডিজিটালি বাজারজাত করতে এবং বিক্রি করতে চান।
Jio AI ক্লাউড শীঘ্রই ইউজারদের পরিষেবা দিতে শুরু করবে, সঠিক তারিখ এখনও জানা যায়নি।