জিও-র তরফে জানানো হয়েছে, বিহারে ৪২০.২৫ কোটি ব্যয়ে 5.0 MHz ব্যান্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে ৫৫৩.৩৮ কোটি টাকা খরচ করে 9.4 MHz ব্যান্ড কেনা হয়েছে। মোট 14.4 MHz ব্যান্ডের জন্য খরচ হয়েছে ৯৭৩.৬৩ কোটি টাকা। স্পেকট্রাম নিলামের শর্ত অনুযায়ী, ২০টি সমান কিস্তিতে এই দাম শোধ করতে হবে, যার সুদ বার্ষিক ৮.৬৫ শতাংশ।
advertisement
একটি বিবৃতিতে জিও জানিয়েছে, এই পদক্ষেপের ফলে স্পেকট্রাম ফ্রন্টে কোম্পানির অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। উন্নত হবে ৪জি এবং ৫জি পরিষেবার মান। কোম্পানির উদ্দেশ্য, দেশ জুড়ে গ্রাহককে আরও ভাল অভিজ্ঞতা দেওয়া এবং ভৌগলিক ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করা।
সঙ্গে যোগ করা হয়েছে, জিও-র স্পেকট্রাম বেড়ে 26,801 MHz (আপলিঙ্ক এবং ডাউনলিঙ্ক) হয়েছে। যা কোম্পানির অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে। ইতিমধ্যেই ৪জি এবং ৫জি-র মতো ব্যান্ডউইথ দক্ষ প্রযুক্তিতে গোটা ভারত জুড়ে সর্বাধিক স্পেকট্রাম স্থাপন করেছে জিও।
বলে রাখা ভাল, জিও-ই ভারতের একমাত্র অপারেটর যাদের লো ব্যান্ড, মিড ব্যান্ড এবং হাই ব্যান্ড (700 MHz, 3300 MHz এবং 26 GHz) স্পেকট্রাম অ্যাক্সেস রয়েছে। যা গ্রাহকদের ৫জি পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনন্য সুবিধা প্রদান করে।
রিলায়েন্স জিও ইনফোকম লিমিটেডের চেয়ারম্যান আকাশ আম্বানি বলেন, “ডিজিটাল ইন্ডিয়া ভিশনের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতিমধ্যেই পুরোদমে সেই কাজ চলছে। মাত্র ১২ মাসের মধ্যে বিশ্বের দ্রুততম এবং প্রশস্ত স্ট্যান্ড অ্যালোন ৫জি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি আমরা। এই নতুন স্পেকট্রাম ক্রমবর্ধমান ট্র্যাফিক চাহিদা এবং গ্রাহকের নতুন আকাঙ্ক্ষা ও অভিজ্ঞতা মেটাতে সক্ষম হবে, যা আর শহুরে বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। আমরা চাই প্রত্যেক ভারতীয় জিও-র পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল সলিউশনের রূপান্তরমূলক সুবিধাগুলি উপভোগ করুন”।